শিরোনাম
ভোলায় ১০ কোটি টাকায় হাটবাজার উন্নয়ন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৭, ১৪:০১
ভোলায় ১০ কোটি টাকায় হাটবাজার উন্নয়ন
ভোলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভোলায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬টি হাটবাজারের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ক্লোস্টার ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২৩টি বাজারের উন্নয়ন সম্পন্ন ও পাঁচটির কাজ চলমান। এর মধ্যে আটটি বড় বাজার ও ১৮টি ছোট বাজার রয়েছে। এ বাজারগুলো গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাজার সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটছে এসব অঞ্চলে।  

 

জেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, বড় আটটি বাজারের মধ্যে সদর উপজেলার ইলিশা বাজার, গজারিয়া বাজার। দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার, তজুমুদ্দিন উপজেলার শশিগঞ্জ বাজার। লালমোহন উপজেলার ডাওরী বাজার। চরফ্যাশন উপজেলার ফকিরহাট ও ঢালচর বাজার এবং মনপুরা উপজেলার বাংলাবাজার রয়েছে। উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে ছয়টির ও চলমান রয়েছে দুটির কাজ। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি ৩৪ লাখ টাকা।  

 

এছাড়া জেলার লালমোহন, বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ছোট ১৮টি হাট-বাজারের উন্নয়ন কাজের মধ্যে ১৫টি সম্পন্ন হয়েছে। কাজ চলছে তিনটি বাজারের। ছোট বাজার উন্নয়নে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হবে। সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলে এসব বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীদের সমাগম বাড়ছে। আগে জরাজীর্ণ ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে পাকা দালান ও অত্যাধুনিক বিভিন্ন সেড বাণিজ্যের নতুন গতি বৃদ্ধি করছে এসব এলাকায়।  

 

বাজারগুলোতে আলাদা আলাদা মাছের সেড, মাল্টিপারপাস সেড, উন্নত টয়লেট, পাকা রাস্তা, আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ টিউবয়েল, পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা, র‌্যাম, গার্মেন্স পিট ইত্যাদির উন্নত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে সামন্য বৃষ্টি হলেই টিনের চাল থেকে পানি পরত। এখন ছাদ দেয়া হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতেও কোন সমস্যা নেই।

 

বাংলাবাজার এলাকার ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমেদ বলেন, বাজার উন্নয়নের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে আসা ছোট ব্যবসায়ীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছে। পরিবেশ উন্নয়নের ফলে ব্যবসার নিরাপত্তাও বেড়েছে।

 

ইলিশা বাজারের ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী সুভাশ চন্দ্র ও নিতাই নন্দ ১৫ বছর ধরে পান বিক্রি করছেন। আগে খোলা আকাশের নিচে ব্যবসা করলেও এখন ছাদ হয়েছে। তারা জানান, আগে বৃষ্টির দিনে সমস্যা হতো। সামান্য বৃষ্টি হলেই বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যেতো। এখন বাজার ঘর নির্মাণ করায় সেই সমস্যা আর নেই।  

 

দুধবিক্রেতা লোকমান আলী বলেন, বাজার উন্নয়ন হওয়ায় তাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। পাকা রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকায় বর্ষাকালেও কোনো সমস্যা হয় না।

 

এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাজারগুলো উন্নয়নের ফলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েরই সুবিধা হয়েছে। ব্যবসাবান্ধব উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণাধীন অন্য বাজারগুলোর উন্নয়ন কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে জানান তিনি।

 

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি    

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com