শিরোনাম
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ৩১ প্রবাসী
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ২০:০৭
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ৩১ প্রবাসী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এখন এই অর্থ কিভাবে বিনিয়োগে নিয়ে আসা যায়, সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।


মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো ২৬ প্রবাসী, বন্ডে বিনিয়োগকারী পাঁচজন এবং চারটি অনিবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজকে পুরস্কার দেয়া হয়।


বেস্ট রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৫ আর্জন করেন জাকির হোসেন। কুয়েত প্রবাসী জাকির অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক। মো. শফিক প্রবাসী ব্যবসায়ী জনতা ব্যাংকের গ্রাহক।



এছাড়াও রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী অন্য প্রবাসীরা হলেন- ওয়ালিউর রহমান, খান মো. মুহিবুল বারি, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, আক্তার হোসেন, মো. সেলিম, জাকির হোসেন চৌধুরী, পারভেজ কামাল, আবু মো. জাকারিয়া, রায়হান আলাউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মিয়া, সেলিম মিয়া, শহীদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ ইসমাইল, নওশাদ আহমেদ, জেড ইউ সাঈদ, দেওয়ান সাদেক আফজাল, ইকবাল হোসেন, নাজমুল হুদা, আলী রেজা, মুর্শিদুজ্জামান, মো. আজম, আব্দুল ওয়াহাব, শাহাবুদ্দিন।


বন্ডে বিনিয়োগ করে অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী প্রবাসীরা হলেন- মাহতাবুর রহমান, ওমর ফারুক, আশিফ এ চৌধুরী, মোছা. জেসমিন আক্তার, আরিফ এ চৌধুরী।


এছাড়াও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মধ্যে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে প্লাসিড এনকে কর্পোরেশন, ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি, এন ই সি মানি ট্রান্সফার, কে এম বি ইন্ট. মানি ট্রান্সফার।
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের আটজন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চারজন, সোনালী ব্যাংকের তিনজন, এইচএসবিসির তিনজন, পূবালী ব্যাংকের তিনজন, ব্যাংক এশিয়ার দুজন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের দুজন। বাকি ছয়জন অগ্রণী, এবি, ট্রাস্ট, বেসিক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও এনআরবি ব্যাংক হতে নির্বাচন করা হয়েছে।


অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৫ হাজার জনশক্তিতে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ দেশ থেকে যারা বিদেশে যান, আমরা যদি তাদের আরো দক্ষ করে দিতে পারি তাহলে দু’দিক দিয়ে সুবিধা হবে। প্রথমত : তাদের আয় বাড়বে, দ্বিতীয়ত : দেশের আয়ও বাড়বে। তিনি বলেন,


রিজার্ভের টাকা ব্যবহার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের টাকা আপনাদেরই থাকবে। আমরা শুধু আপনাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঋণ নেব। সে অর্থ দেশের উন্নয়নে মেগা প্রকল্পে ব্যবহার করব। এসব প্রকল্পের সাফল্য বা ব্যর্থতার বিষয়ে দায় দায়িত্ব আমাদের। আপনাদের টাকার কোনো ক্ষতি হবে না। যে অর্থ ঋণ নেয়া হবে তার লভ্যাংশও দেয়া হবে। এবছর থেকে সে কার্যক্রম শুরু হবে কি-না বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী বছর থেকে সুনিশ্চিতভাতে তা ব্যবহার করা হবে। আর বাজেটেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকবে।’


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন।


প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে এই অর্থের অংশ চোরাচালান, মাদক ব্যবসাসহ জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করা হয়।


বাংলাদেশ বাংকের ডেপুটি গর্ভর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান রহমান, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার ব্যাংক লিমিটেডের বাংলাদেশ আবরার এ আনোয়ার, ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ হাউজের চেয়ারম্যান ইদ্রিস ফারাজী, প্রবাসী এসএম ফারুক তমাল, দেওয়ান সাদেক আহসান ও মাহতাবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com