শিরোনাম
চুরি যাওয়া অর্থ আদায়ের পর প্রতিবেদন : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৩০
চুরি যাওয়া অর্থ আদায়ের পর প্রতিবেদন : অর্থমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ আদায়ের সমস্যা সামাধান হওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।


সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।


রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, হয় নাই। ফিলিপিন্সের সঙ্গে কিছু বিষয় রিজলভ (সমাধান) হলে (প্রতিবেদন প্রকাশ) করবো।


তিনি বলেন, নিজের দায় এড়িয়ে কেউ এই রিপোর্ট থেকে সুবিধা পাক- সেটা আমি চাই না। রিজাল ব্যাংক চুরির টাকা নিয়ে বাহাদুরি করছে। তারা এটা করতে পারে না।


মুহিত বলেন, টাকার মালিককে টাকা ফেরত দিতেই হবে। তাদের (রিজাল ব্যাংক) এটিচিউড গ্রহণযোগ্য না। এটা রিজলভ (সমাধান) করি, তারপর প্রকাশ (প্রতিবেদন) করবো।


অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আইডা ফান্ডের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুনে শেষ হচ্ছে। আইডা থেকে পরবর্তী তিন বছরে ঋণ নেয়ার বিষয়েই বিশ্বব্যাংক গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, আইডার মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার বাড়তি ঋণসহায়তা দেয়া হবে। ফলে ২ বিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা পাবে বাংলাদেশ।


মুহিত জানান, আইডার চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবশিষ্ট পাঁচ মাসের জন্য আমরা বর্ধিত সুদে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিলাম। কিন্তু খাতগুলো সুনির্দিষ্ট না থাকায় বিশ্বব্যাংক বলেছে এটা সম্ভব নয়।


তিনি বলেন, এর পরিবর্তে বিশ্বব্যাংক নিজেই একটা প্রস্তাব দিয়েছে আমাদের। তারা এলজিইডি খাতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আর হাউজিং খাতে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত সংস্কার ইস্যুতেও ঋণসহায়তা দিতে চায়। এজন্য যৌথভাবে রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। যদি এটা এই সময়ে সম্ভব না হয় তাহলে আইডার আগামী প্রান্তিকে যুক্ত হবে।


গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলংকায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে।


শ্রীলংকা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চুরি হওয়া ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফিলিপাইন থেকে ফেরত পাওয়ায় বাকি রয়েছে আরও ৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।


এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) ২ কোটি ১০ লাখ ডলার জরিমানা করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুরির এ ঘটনায় আরবিসির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল মামলা করেছে।


গত ২৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে আরসিবিসি জানিয়েছে, রিজার্ভের চুরি যাওয়া বাকি অর্থ তারা ফেরত দেবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়েছে বলে দাবি করে ব্যাংকটি।


এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২২ মার্চ এ কমিটি তাদের কাজ শুরু করে এবং ৩০ মে অর্থমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।


এরপর কয়েক দফা সময় দিয়েও রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।


বিবার্তা/আকবর/হোসেন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com