দেশের জনপ্রিয় প্রবীণ অভিনেত্রী দিলারা জামান। ৮১ বছর বয়সেও যেন তিনি কিশোরী! বয়সকে শুধুই সংখ্যার ঘরে বন্দি রেখে এখনও রঙিন নন্দিত এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি সময়সাময়িক কাজ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশ বরেণ্য এই অভিনেত্রী। জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

বর্তমান সময়ের ইন্ডাস্ট্রির কাজ নিয়ে তিনি জানান, সময়ের প্রয়োজনে এখন আর আগের মতো অভিনয়ের সুযোগটা নেই। অভিনয়ের জায়গাটা আমার কাছে ভালোলাগার। আর তাইতো এখনও অভিনয়ের চেষ্টাটা অব্যাহত আছে। তবে এখন যে সমস্ত কাজ হচ্ছে তাতে পারিবারিক কাজ কমে গেছে। যার জন্য গত ৬ থেকে ৭ মাস কোনো কাজই করছি না।

তিনি আরও বলেন, এখন দর্শকের রুচি বোধয় বদলে গেছে। আমাদের মতো মানুষের কাজের জায়গাটা খুব কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ গল্পই তো এখন বদলে গেছে। তবে এটা ঠিক নয়, একজন শিল্পীর জন্য এটা খুবই লজ্জাজনক। যে শিল্পকে ধারণ করে সে তো আর বদলাতে পারে না। তাই অনেককেই বলি যে এভাবে শিল্পীরা যেন বসে না থাকে। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই তারা শান্তিতে থাকতে পারে।

অবসরে এখন সময় কিভাবে কাটে? উত্তরে দিলারা জামান কিছুটা অভিমানী সুরে চোখ ভিজিয়ে বলেন, আমি এখনও বই পড়ি, গান শুনি, নাটক সিনেমার দেখার চেষ্টা থাকে। বাসায় পরিবারকে সময় দেই। এভাবে কাটছে জীবন।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে ‘ত্রিধারা’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলারা জামান। নাটকের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। নাটক, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপনে একটা সময় নিয়মিত দেখা গেলেও এখন আর খুব বেশি একটা দেখ যায় না তাকে।

বিবার্তা/মাসুম