খাবারের মূল্য হ্রাসের দাবিতে তিন হোটেলে তালা দিলো কুবি শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৫
খাবারের মূল্য হ্রাসের দাবিতে তিন হোটেলে তালা দিলো কুবি শিক্ষার্থীরা
কুবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

খাবারের দাম এবং পরিমাণের অসামঞ্জস্যতার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তিনটি হোটেল তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেল, চড়ুইভাতি রেস্তোরাঁ ও মক্কা হোটেলে তালা দেওয়া হয়েছে।


শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হোটেলগুলোতে খাবারের যা মূল্য সেটি অনেক বেশি এবং শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। শিক্ষার যাবতীয় খরচ বহনের পাশাপাশি খাবারে দাম চড়া হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেউ কেউ সপ্তাহান্তে মাছ-মাংসের দেখা পাচ্ছে না। অনেকে তিন বেলা ঠিকঠাক খেতেও পারছে না।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী এম এইচ এস সাকিব বিবার্তাকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় খাবারের চাহিদা না মেটানোর ফলে বাহিরের হোটেলগুলোতে আসতে হয়। কিন্তু তারা আমাদের থেকে ন্যায্যমূল্য রাখছে না। যে যার মত করে দাম বাড়াচ্ছে। আটার দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা কিন্তু তারা পরোটা প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০ টাকা করেছে। মাংসের কেজিপ্রতি মূল্য আর দোকানে বিক্রি করা পিচের মধ্যে অসম্ভব ব্যবধান। এগুলো কেন করবে? শীতকালীন সবজি যেখানে অ্যাভেইলবল, সেগুলো পর্যন্ত চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। আমরা প্রায় সবাই নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। আমাদের এগুলো বহন করা কষ্ট হচ্ছে। সামনে যাতে এগুলো না হয়, সেজন্য আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টিমূলক খাবার মূল্যের সমাধান চাই।'


মামা হোটেলের মালিক সোহাগ বিবার্তাকে বলেন, 'আসলে বিষয়টা হচ্ছে এখানে চার্টে দেওয়া আছে গরুর মাংস চার পিছ ১৪০ টাকা, কিন্তু আমরা স্টুডেন্টদের জন্য সিঙ্গেল করে দুই পিছ দাম রাখি ৭০ টাকা। সোনালি মুরগির রোস্ট একপিস ১২০ টাকা। আজকে আমাদের একজন নতুন কর্মচারী যে বিষয়টি জানতো না- ফুল গরু মাংস দুইজন খেয়েছে, তাদের বিল হয়েছে ৩০০ টাকা প্রায়। এর ফলে স্টুডেন্টরা উত্তেজিত হয়ে হোটেলের সাটার লাগিয়ে দেয়। তাদের দাবি চার পিছ গরু মাংস কিভাবে ১৪০ টাকা হয়, এক পিছ রোস্ট কিভাবে ১২০ টাকা হয়?'


মক্কা হোটেলের মালিক বিবার্তাকে বলেন, 'আমি দোকানে ডিউটিতে ছিলাম। পরে মামারা এসে বললো, ওনারা খাবারের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট না। এটা নিয়ে সব দোকান মালিকের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চায়, যাতে করে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হয়।


তিনি খাবারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলেন, বর্তমান বাজারের দাম অনুযায়ী একটু বেশিই। কিন্তু দোকানের স্টাফদের বেতন-ভাতা মিটিয়ে আমাদেরও কষ্ট হয়।


বিবার্তা/প্রসেনজিত/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com