
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের (২০১৭-১৮) সেশনের শিক্ষার্থী ও গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কে. এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিয়েছে।এ ঘটনার পর তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলিফ বর্তমানে প্রেসক্লাবের কোনো পদে নেই এবং তিনি কোনো জাতীয় পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত নন। তথাপি তিনি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রেখে তা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুৎসামূলক পোস্ট দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
তার এহেন কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরে শেখ রাসেল হলে অবস্থানকালে উত্তেজিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করে। মারামারির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাকে জুতার মালা পরালে, টানাহেঁচড়ায় তা ছিঁড়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালগঞ্জ সদর থানার কর্তব্যরত অফিসার জানান, "সে থানাতে আছে, আমি যতটুকু জানি তার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।"
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজিবকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সর্বশেষ তথ্য মতে জানা যায়, কে. এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফকে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান করছে।
বিবার্তা/অহনা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]