
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে ২৮৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এই মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এই তথ্য জানিয়ে বলেন, শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেছেন- মেধাবীদের জন্য ভাইভায় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
১১৪ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে বিনা পারিশ্রমিকে মামলাটি পরিচালনা করছেন। একই বিষয়ে পরে ১৭১ জন পৃথক আরও তিনটি রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করা হয়।
রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
মো. মাহাবুব শেখ, মো. আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থ প্রতীম, শাজাহান শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও মো. নূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]