সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:০৮
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশব্যাপী সংঘটিত সন্ত্রাস ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।


৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।


মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় ২০১৩-১৪ সালের কথা। যখন দেশে অগ্নি -সন্ত্রাস চলমান ছিল। আজকে যখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা আমরা দেখি, তখন তৎকালীন সহিংসতার কথা স্মরণ হয়। এটি পুনরায় হতে যাচ্ছে কি না, সেটা ভেবে আমরা আতঙ্কিত হই।


এ সময় তিনি বলেন, একটি দেশ পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে, সংবিধানের আলোকে এবং দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারায়। আইনের শাসন এবং সাংবিধানিক শাসনের ব্যতিক্রম কাম্য নয়। এ সময় তিনি সন্ত্রাসের পথ পরিহার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।


ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বিএনপির মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে ব্যাহত করা। নির্বাচনকে ব্যাহত করলে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। আর তাতে হয়তো বিএনপি জামায়াত কোনোভাবে লাভবান হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস বলে, মানুষ অগণতান্ত্রিক সরকার চায় না। সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের চরম শিখরে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশকে কীভাবে দাবায়ে রাখা যায়। বাংলাদেশকে কীভাবে নির্ভরশীল করে রাখা যায়, সে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে, তৎকালীন সপ্তম নৌবহর পাঠানো দেশ (যুক্তরাষ্ট্র)।


বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আগামী নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের গৌরবের কথা শোনাবে। কিন্তু বিএনপি যে সহিংসতা শুরু করেছে, যেভাবে পুলিশকে মেরেছে, বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে সামনের নির্বাচনকে বানচাল করার পায়তারা করছে তারা।


বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি আগে যেমন সহিংসতা করেছে, গত ২৮ তারিখ তার কোন অংশে কম করেনি। আমরা আগে দেখিনি বিচারপতি বাড়িতে আক্রমণ করতে, সাংবাদিকদের পেটাতে, পুলিশের মৃত্যু নিশ্চিত করতে। এ ধরনের ঘটনা তারা বারবারই করবে। তাই শুধু মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করলে হবে না, প্রতিরোধ করতে হবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, কর্মসূচি ও মহাসমাবেশের নামে বিএনপি যে সহিংসতা করেছে আমরা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তার প্রতিবাদ জানাই। এক্ষেত্রে স্পষ্ট করে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কখনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না।


সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, বিএনপি দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে। একজন পুলিশকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। তারা দেশে আগুন-সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি আবার ফিরিয়ে এনেছে। তাদের সন্ত্রাস, হত্যা ও নৈরাজ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।


মানববন্ধনে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/ছাব্বির/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com