
বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বর-কলাভবন-মধুর ক্যান্টিন সংলগ্ন জারুল-কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো ফুলের আচ্ছাদনে সময়ে-সময়ে হাসে। বসন্তে-ফাল্গুণে আলো ঠিকরে আরো বর্ণময় হয়ে ওঠে। বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাথে যে নামটি আজ বলতে চাই সেটি আয়েশা সিদ্দিকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুল-কৃষ্ণচূড়ার মতোই সজীব প্রাণের দ্যোতনায় অমলিন প্রাণে ও কর্মে সদা হাস্যময়ী ও প্রাণোচ্ছল এক মেধাবী তরুণীর নাম আয়েশা সিদ্দিকা। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স (২০১৪) ও মাস্টার্সে (২০১৫) প্রথম স্থান লাভ করেন। ৫০তম সমাবর্তনে পেয়েছেন ‘খালেদা মনযুর-এ-খুদা স্বর্ণপদক’। এর আগে বিভাগীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড।
‘পরিবেশ ও ধর্ম’ বিষয়ে এমফিল শুরু করেছিলেন আয়েশা। কিন্তু মাঝপথে বন্ধ হয়। কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমফিল শুরু করেছিলাম কিন্তু পিএইচডি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছি। যদিও এমফিল করা আমার বিশেষ ইচ্ছে ছিল। আমার শ্বশুর বাবারও খুব ইচ্ছে ছিল, এ বিষয়ে তিনি আমাকে খুব তাগাদা দিতেন। বিয়ের সাত দিন পর এমফিল প্রথম বর্ষে (লিখিত পরিক্ষা) পরীক্ষায় বসেছিলাম, অবশ্যই শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা পেয়েছি নাহলে তো এটা সম্ভব হত না। এমফিলের নিয়ম হল ৬০ শতাংশের উপর নম্বর পেলে পরবর্তী গবেষণাকর্ম চালিয়ে নেয়ার জন্য ভালো অংকের বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। আল্লাহর রহমতে আমি সেই বৃত্তিটা পাই৷ কিন্তু মাঝপথে পিএইচডিতে চলে আসার আগে সে টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিয়ে আসি।
ছোটবেলা থেকেই বই পড়া ছিল নেশা। হোক গল্পের কিংবা পাঠ্য। ফিকশন আর নন-ফিকশনের সুখপাঠ্যে মনে মনে ভাবতেন গোয়েন্দা হবেন, কিংবা গোয়েন্দা কাহিনীর নায়ক বর্তে। স্বপ্নের সেই গোয়েন্দা এখনও মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে তার, তবে পেয়েছে তা ভিন্ন মাত্রা। এখন গোয়েন্দা হয়ে চলতে চান শিক্ষার্থীর মনে, আন্তরিকভাবে হতে চান একজন আদর্শবান শিক্ষক। পাশাপাশি গবেষণাকর্মের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখতে চান আয়েশা সিদ্দিকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ, শিক্ষকতা এবং উচ্চ শিক্ষার বিষয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব এটা ছিল আমার স্বপ্ন। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এলো তখন মনে হল আরও একটু ভালো পড়াশোনা করলেও হতো। পছন্দের বিষয় না পাওয়ার কারণে মন খারাপ হয়। অর্থনীতি ছিলো পছন্দের বিষয়। দ্বিতীয়বার দারুণ পড়ালেখা করে উক্ত বিষয় পাওয়ার আশায় নতুনভাবে এলোমেলো টেবিল গুছিয়ে নেই। এখন মনে হয় আমার এই বিভাগে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
আয়েশা সিদ্দিকা গল্পের ঠিক এই প্রান্তে এসে আরো উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন, জানা যায় প্রাণময়ী প্রেরণা এই মেধাবী তরুণীর সাফল্যে প্রাণময় হয়ে ওঠার পেছনের আরেকটি গল্প। আয়েশা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশনের দিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় প্রফেসর কাজী নুরুল ইসলাম স্যারের ও প্রফেসর টি ও কনেল এর মনোমুগ্ধকর কথা আর বিভাগের সিলেবাস দেখে যেখানে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও আরও নানা বিষয়, সবকিছু আমাকে খুব নাড়া দেয়, বিষয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহবোধ থেকেই এই বিভাগে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। মজার ব্যাপার হল এক সেমিস্টারে অর্থনীতি পড়ানো হবে। এই বিষয়টা আমার চোখ এড়িয়ে যায়নি।
বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতিকে খুব দারুণভাবে উপলব্ধি করেই আয়েশা বলেন, দেশ বিভাগ থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সব ক্ষেত্রেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মকে ব্যবহার করেছে। বর্তমান জঙ্গি তৎপরতা, ধর্মান্ধ মানসিকতার চরম বিপর্যয়, সবকিছুর মূলেই রয়েছে ধর্মের অপব্যাখ্যা। আমরা যদি ধর্মের সঠিক বাণী অনুধাবন করতে পারি, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারি তাহলে বিশ্বে সত্যিকার অর্থেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এ নিয়েই আমি গবেষণা করতে চাই। এতে সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব।
আয়েশা সিদ্দিকার জন্ম চাঁদপুরের মতলব থানার সিকিরচর গ্রামে। বাবা মো. আজহারুল ইসলাম জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যাল ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। বাবার চাকরির সুবাদে ছেলেবেলা কাটে নারায়ণগঞ্জে। মা তাসলিমা ইসলাম গৃহিণী। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে আয়েশা বড়।
আয়েশা সিদ্দিকা নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০০৯-১০ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। কখনো ক্লাস সেরে ছুটতে ছুটতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ধরতেন বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের রান্না খাবেন বলে, কখনো হলে ঢুকে রান্না চড়িয়ে বই হাতে বসতেন। আসলে কখনোই থামেনি পড়ালেখা। তবে নিজেকে একদমই বইপোকা বলতে নারাজ আয়েশা। খুব সহজেই কারণটা অনুমেয় হবে পাঠকের কাছে। পড়ালেখার পাশাপাশি নানারকম সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে ছিল আয়েশা বিশেষ আকর্ষণ ও দখলদারিত্ব। এবার সেসব শুনে নেবার পালা।
আয়েশা সিদ্দিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল কুইজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ গ্রাজুয়েট’স অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য। তিনি বর্তমানে ব্রিটিশ সোসিওলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ British Sociological Association (BSA) এবং রিলিজিওন ফর সোসাইটি অর্থাৎ Religions for Society- এর সদস্য। এছাড়াও, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ বিতর্ক ক্লাব এর সহ-সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা।
আয়েশা সিদ্দিকার আরেকটা দারুণ বিষয়, তার অন্তর কবিতার প্রাণে বাঁধা, ভালোবাসেন কবিতা পড়তে, তারচেয়েও বেশি ভালোবাসেন আবৃত্তি করতে আবৃত্তি সংগঠন ঢাকা স্বরকল্পন এর সদস্য। আয়েশা বলেন, 'আবৃত্তি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় একটি অঙ্গন। যদিও অনেকটা সময় চর্চা হয় না। তবে ভবিষ্যতে আবৃত্তি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে।'
নিজের অর্জন ও প্রাপ্তি নিয়ে আয়েশা বলেন, আমার একাডেমিক অবদানের জন্য, দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছি; ২০১৭ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে খালেদা মঞ্জুর-ই-খুদা স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনের জন্য ডিনস পুরস্কার। একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে নিয়োজিত করার সুবিধা দিয়েছে।
আমি ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে পূর্ণ-সময়ের অনুষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমানে, আমি আমার পিএইচডি করার জন্য অধ্যয়ন ছুটিতে আছি।
তিনি আরো জানান, আমি রোহিঙ্গাদের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জোরপূর্বক অভিবাসন ও প্রত্যাবাসন সংকট নিয়ে কাজ করছি। আমার বর্তমান ডক্টরেট প্রকল্পে, আমি প্রত্যাবাসনের চ্যালেঞ্জ এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যার পিছনে পরিচয়ের রাজনীতির ভূমিকা বুঝতে চাই। বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলি অধ্যয়ন করার পাশাপাশি, আমি সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন এবং ধর্মের সমাজবিজ্ঞানসহ কোর্সগুলি অধ্যয়ন করেছি যা আমাকে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সোসিওলজি অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসিতে উচ্চতর পড়াশোনা করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
সফলতার পেছনের গল্প জানাতে গিয়ে আয়েশা বলেন, মা-বাবা অবশ্যই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার সাফল্যে তারা দুজনেই একান্ত প্রিয় নাম। কিন্তু মফস্বল শহরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্বস্তিকর স্বাধীন জীবন কাটাতে গেলে মানুষকে একটু হিমশিম খেতে হয়। ধরুন, আমার পরিবার আমাকে পড়াতে চাইছে, অধ্যয়নের দারুণ সুযোগ দিচ্ছে কিন্তু সমাজের বিশেষত মফস্বলের আর পাঁচটা মানুষের সেটা ভালো লাগে না। তারা মেয়েদের জন্য সাফল্যের সমাধান খোঁজে বিয়েতে। দেখুন, আমার তো সন্তান আছে, সংসার তো অবশ্যই। আমি সব সামলেই পড়াশোনা, শিক্ষকতা, গবেষণা চালাই। তাহলে কেন সুযোগ বঞ্চিত করা হয় আমাদের দেশের মেয়েদের?
মাকে নিয়ে আয়েশা সিদ্দিকা খুব অসাধারণ একটি বাক্য উচ্চারণ করেন, আমার মা গৃহিণী হিসেবে এখনও কর্মরত আছেন, আমার মতে পার্থিব জীবনে কাজের এই জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত একটি সফল সন্তান গড়ে তুলতে, একটি আদর্শ জাতি উপহার দিতে আমার মায়ের মতো মায়েরই প্রয়োজন। তাই বলে ভাববেন না, বাবাকে সাফল্যের ভাগ থেকে দূরে রাখছি। মা-বাবা দুজনের একান্ত প্রচেষ্টাতে আমার মাথায় সাফল্যের মুকুটে এক একটি পালক যুক্ত হয়েছে, এবং তারা দুজনেই প্রত্যাশা করেন, এইরকম পালক আরো যুক্ত হবে।
আয়েশা তার সাফল্যের পেছনে আরেকটি নাম বলতে চান। তিনি জানান, মা বাবার পাশাপাশি আমার বড় মামা আমার সাফল্যের সারথি। শিশুকাল থেকে তার আর্মি শাসনে বড় হওয়ায় আমার মতো দুরন্তপনার মানুষ আজকে এখানে। আমার মেজ মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নটা কৌশলে অথচ সযত্নে আমার মধ্যে বুনন করে দিয়েছিলেন সেদিন, যেদিন বিষয় নির্বাচনের মৌখিক পরীক্ষা ছিল।
আয়েশা এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমাদের দেশে নারীদের কিছুক্ষেত্রে মত প্রকাশের অধিকার ও শিক্ষা লাভের সুযোগ থাকলেও প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব রয়েছে। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের দ্রুত বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে পরিবার ও সমাজের সঙ্গে লড়তে হয়। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। পরিবার থেকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে, মেয়েদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিলে নারী পিছিয়ে থাকবে না।
চাকরির ক্ষেত্রগুলোতে মনুষ্যত্ব বান্ধব পরিবেশ প্রত্যাশা করেন আয়েশা সিদ্দিকা। তার মতে, একটি মেয়ে বা একজন নারী সন্তান জন্ম দেয়। লালনপালনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার। এদিকে তাকে বাইরের কাজেও ছুটতে হয়। এটা খুবই ডিফিকাল্ট এবং যেকোনো নারীর জন্য একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কাজের (ঘরে কিংবা বাইরে) জায়গায় সন্তানকে নিশ্চয়তা-নিরাপত্তায় রাখার পরিবেশ পাওয়া মানুষ হিসেবে নৈতিক অধিকার। তাই নারীবান্ধব না বলে ওই শব্দটি ব্যবহার করলাম। সব জায়গায় নারী বান্ধব শুধু নয়, মনুষ্যত্ব বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাজের আরো কিছু অত্যাবশ্যকীয় বিষয় অনুধাবন করে আয়েশা বলেন, প্রতিটা মানুষের হোক সমাজে কিংবা পরিবারে মানুষের মানুষকে সময় দেয়া খুব প্রয়োজন আর যান্ত্রিক জীবনে এটাই দিন দিন কমে যাচ্ছে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, একজনের সাফল্য যেন অন্যজনের মনে আঘাত না করে। পৃথিবীতে প্রতিটি বিষয় আপেক্ষিক। এর থেকে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। তাই খুব চিন্তা হয় বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে। কত সহজেই (হয়তো তার কাছে কঠিন ছিল) আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কেন এমন করবে একটি মানুষ? তার নিজেকে তার জীবনের মূল্য অনুধাবন করতে হবে, পাশাপাশি অন্যদেরও সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। এখনও সময় আছে, দেশের প্রতিটা জায়গায় ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের নিয়ে ভাবার ও কাজ করার। এর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।
আয়েশা আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে মানুষের উদাসিনতা আমাকে খুব বেশি চিন্তিত করে। আমি অনেক বেশি অবাক হই সমাজের প্রতিটা সেক্টরের পরিবেশের প্রতি এমনভবে অত্যাচার করা দেখে। পরিবেশ রক্ষার ব্যপারে ধর্মীয় শিক্ষা খুব ভালো একটা ভূমিকা রাখতে পারে। পরে কোন এক সময় এর উপর আলোকপাত করা যায়।
আয়েশা বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতির শিক্ষক হিসেবে সবার কাছে ধর্মের প্রকৃত কথাটি পৌঁছে দিতে চান, বলতে চান কত দারুণভাবে ধর্ম জীবনের সহজ ও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে, নারীকে গৃহবন্দি করতে ধর্মকে যে সুকৌশলে সমাজ ব্যবহার করতে চায় সেই ভ্রান্ত ধারণা বদলে আমূলে পালটে দেওয়া এক সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখেন আয়েশা সিদ্দিকা।
বিবার্তা/এসবি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]