বঙ্গোপসাগরের স্রোতের কোলে জাগ্রত মুগ্ধকর এক চরাঞ্চল, যেখানে সরাসরি সড়কপথে যাওয়া যায় না, ভরসা নৌপথ। এই চরাঞ্চল বাংলাদেশের দক্ষিণের উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলার চর মোন্তাজ। সেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জোয়ার-ভাটার চিরসত্য প্রতিকূলতাকে সহাস্যে বরণ করে প্রতিভার স্রোতে গর্জন করে জেগে ওঠা এক অমিত সম্ভাবনাময় স্বপ্নদর্শী তরুণ মো. ইমরান আহম্মেদ। বঙ্গোপসাগরের দুর্বার গতি ও উদ্দাম শক্তি-সাহসের আশীর্বাদপুষ্ট এবং বাংলার হাওয়া-জলে সম্ভাবনার বীজটি নিজ অস্তিত্বে গেঁথে নেওয়া অদম্য গতিময় এই তরুণ।
পোশাকি পরিচয়ে বলতে হয় নাম তার মো. ইমরান আহম্মেদ, পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২,গাজীপুর। আর সামগ্রিক বিশ্লেষণ করে বলতে গেলে ইমরান আহম্মেদ সম্পর্কে নির্বিবাদে বলে দেওয়া যায় সম্ভাবনায় সে বঙ্গোপসাগরের মতোই অপ্রতিরোধ্য, স্বপ্নে চর মোন্তাজ মতোই বীরদর্পে স্রোতে টিকে থাকা এক দারুণ প্রতিভা আর সাফল্যে সে বাংলার কৃতি এক সন্তান।
মো. ইমরান আহম্মেদের জন্ম পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর মোন্তাজ গ্রামে। শৈশব-কৈশোর চর মোন্তাজ কাটলেও তারুণ্যের জোয়ারে চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেরিট স্কলারশিপ। প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পেয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। বেশ অনেকটা সময় কাজ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিনিয়র এএসপি) হিসেবে। তিনি ৩৪তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। পুলিশের মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি শাখায় কর্মরত থাকার পর নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কর্মরত ছিলেন আর বর্তমানে আছেন গাজীপুরে।
নাম, পরিচয় বা কাজ বিস্তারিত বলা আগে মো. ইমরান আহম্মেদ সম্পর্কে উল্লেখ্য, তিনি দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার গুণে ২০২১ সালে পেয়েছেন সম্মানজনক 'প্রাইম মিনিস্টার ফেলোশিপ'। অপরাধ দমন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সততা ও দক্ষতার জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক।
আবার একটু ফিরে যাওয়া যাক চর মোন্তাজে, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক বিবেচনায় চর মোন্তাজ চারদিক থেকেই নদী ও বঙ্গোপসাগরে ঘেরা। সেখানকার চর মোন্তাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, চর মোন্তাজ এ সাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করেন ইমরান। চর মোন্তাজের প্রথম কোনো শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বৃত্তি, এসএসসিতে এ-প্লাস পেয়েছিলেন তিনি। গলাচিপা ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এই ক্ষেত্রেও তিনি চর মোন্তাজে প্রথম। বাংলাদেশ পুলিশে চাকরির সুবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স অব পুলিশ সায়েন্স (এমপিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের অধীনে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোয় ‘মাস্টার্স অব ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি’ বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।
মো. ইমরান আহম্মেদ বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া শাখায় কর্মরত থাকার পর ছিলেন মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি শাখায়। জনগণের সেবা সহজ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক প্রচারের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশের ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট তৈরি ও পাবলিসিটি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন।
পুলিশের চাকরিতে যোগদান করার আগে বেশ কিছুদিন সাংবাদিকতা করেছেন। রিপোর্টার হিসেবে কাজ করায় তিনি খুব সহজেই মিডিয়ার সঙ্গে পুলিশের কাজ কীভাবে সংযুক্ত করে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা যায় সেটি দক্ষতার সাথে করেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বাংলাদেশ পুলিশ ও মিডিয়ার কাজের উদ্দেশ্য একই মনে হয়। সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে নানা বিষয় নিয়ে নিউজ করবে আর পুলিশ সেসব সমাধান করবে। তাহলে পুলিশ ও সাংবাদিকের কাজটা একই সূত্রেরই।
মো. ইমরান এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমি আগে সাংবাদিক ছিলাম, পরে পুলিশ। আমি তিন বছর পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন শাখায় কর্মরত ছিলাম। সেখানে থাকা অবস্থায় আমরা চেষ্টা করেছি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কাজ কীভাবে সহজ করা যায়। সাংবাদিকদের কাছে একটা টেক্সট দিবো যাতে একটা রিপোর্ট করা যায়। সেটা করার ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টের দিকে গেলাম। একটা ছবি হাজার কথা বলে। ট্রেডিশনাল এপ্রোচটাকে বদলে সংবাদ ব্রিফিংয়ের বাইরে কাজ করার চেষ্টা করেছি, বলা যায় বদলে দেওয়ার চেষ্টা। ভালো কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পদক পাই, তারপর ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পাই। ওখান থেকে আসার পর প্রোমোশন হয় এরপর নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে কর্মরত ছিলাম। পুলিশের মিডিয়া কমিউনিকেশন কার্যক্রমের সহজ ও উন্নয়ন করার কারণে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক অর্থাৎ পিপিএম পাই। পুলিশ নিউজ নামক পোর্টাল আমাদের সময়ই করা। গুজব প্রতিরোধ, সঠিক তথ্য উপস্থাপন ও প্রচার এসব নিয়ে কাজ করেছি।
পুলিশের চাকরিতে কেন আসা এই প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি আসলে বাই চান্স পুলিশ অফিসার। কখনোই স্বপ্ন দেখিনি পুলিশ অফিসার হবো। সাংবাদিকতা দিয়ে ক্যারিয়ার দিয়ে শুরু। যখন সাংবাদিকতার জন্য পরীক্ষা দিতে যাই এটা ছিল তিন নম্বর চয়েজ। ফাস্ট চয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেকেন্ড চয়েজ বিসিএস ক্যাডার, থার্ড চয়েজ সাংবাদিকতা। ভাইভা বোর্ড যখন শুনল তারা তো অবাক, কিন্তু আমি সত্যটা বলেছি বলে সেই চাকরিটা আমার হয়েছিল। তবে তারা জানত, শিক্ষক বা বিসিএস ক্যাডার এই দুটোর একটা হলে চলে যাবো, নাহলে সাংবাদিকতায় থাকবো। বিসিএসে আমার থার্ড চয়েজ ছিল পুলিশ। আমি খুব সৌভাগ্যবান প্রথমবার বিসিএস দিয়েই আমি ক্যাডার হয়েছি। ফার্স্ট চয়েজ ছিল ফরেন। পুলিশ ক্যাডার সম্পর্কে তখন ধারণাই ছিল না। আমি নিজের কাছেই শিওর ছিলাম না যে, আমি পুলিশের চাকরিতে জয়েন করবো। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে। কিন্তু সেসময় বাবা বললেন, এই চাকরিটা তুমি চাওনি। না চাওয়ার পরও পেয়েছো। অনেক মানুষ চেয়েও পায় না। যেহেতু তুমি না চেয়েও পেয়েছো সেহেতু সৃষ্টিকর্তার তোমাকে নিয়ে ভালো কোনো উদ্দেশ্য আছে। তুমি পুলিশে যাও এবং মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করো। বাবার কথা শুনে এই চাকরিতে এসেছি এবং বাবার কথাটাই রাখতে চাই। আমি পুলিশ হিসেবে সেই দারুণ কাজটাই করতে চাই যা সৃষ্টিকর্তা আমাকে দিয়ে করাতে চেয়েছেন।
ইমরান আরো বলেন, অনার্স শেষ করেই অ্যাপিয়ার্ড (অস্থায়ী) সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছি। কাজেই সে সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মধ্যেই ছিলাম। তাই ভিন্ন করে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করি, সেটিই আমার প্রথম বিসিএস। বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর সারদার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। প্রথম কর্মস্থল ছিল ঝালকাঠি জেলা পুলিশ। এরপর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কাজ করেছি। এরপর থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত।
মো. ইমরান আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ির পশ্চিম দিকে বরগুনা, পূর্বদিকে ভোলা, উত্তরে বরিশাল দক্ষিণে মালয়েশিয়া। বড় হয়েছি চর মোন্তাজে। যখন বড় হয়েছি খুব ব্যাকওয়ার্ড ছিল চর মোন্তাজ। এমনও হয়েছে ক্লাস টু-তে পড়া অবস্থায় আমার সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে। এতটা অনুন্নত ছিল। এখন অনেক উন্নতি হয়েছে, অনেকটা এগিয়েছে। তবু আরো এগিয়ে যেতে হবে।
আক্ষেপ নিয়ে ইমরান আরো বলেন, আমার ছোটোবেলার অনেক সহপাঠীই এখন জেলে বা কৃষক। এই পেশাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার সাথে যারা ছিল সবাই তো শিক্ষিত হতে পারল না। সবাই তো নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারল না। যদি আমার সাথে আরো অনেকে স্বপ্নপূরণ করতে পারত তাহলে খুব স্বস্তি লাগত। আমরা এমন একটা জায়গায় বড় হয়েছি, খুবই ব্যাকওয়ার্ড। এমনকি চরের ছেলেরা সদরের বড় স্কুলেও পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেত না। রেজাল্ট ভালো ছিল বলে আমি সদরে যাওয়ার, সেখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। সদরে যখন পড়তে যাই, সদরের ছেলেরা বলত 'এ্যাই চরের ছেলে'। গাঁয়ের ছেলে ছিলাম, কিছু বলতাম না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আসি,আঞ্চলিকতার টান ছিল কথায়। ভাষাগত সমস্যার কারণেও অনেকে মজা করত, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে বলত। কিন্তু, এই প্রসেস আমাকে শিখিয়েছে। আমি এসব থেকে নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি।
তবে, মো. ইমরান আহম্মেদ সেই চর মোন্তাজ সেই অজপাড়াগাঁ থেকে নিজেকে বের এনেই ক্ষান্ত হয়েছেন তা নয়। তিনি প্রত্যাশা করেন, সুবিধাবঞ্চিত যারা তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদের জন্য সামগ্রিকভাবে কাজ করতে হবে। আফসোস করে বলেন, আমার সাথে আরো ত্রিশজন ছিল তারা আসতে পারেনি, তারা নিজেদের সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। তাদের সেই সুযোগ দিতে হবে। ঠিক এই জায়গাটায় আমি কাজ করতে যাই। আমি মনে করি, এই বিষয়ে কাজ করাটা আমার কর্তব্য। আর দেশের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্যই তো আমি পুলিশ অফিসার।
মো. ইমরান আহম্মেদ পেশাজীবনের পাশাপাশি শিক্ষাজীবনকে সবসময়ই গুরুত্ববহ মনে করেন। তাই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে চতুর্থটি সম্পন্ন করার পথে রয়েছেন। নদীবেষ্টিত অঞ্চলে বড় হয়ে নদীর মতোই যেন বাঁকে বাঁকে নতুন করে জীবনকে আবিষ্কার করেন তিনি আর সাফল্যের ভূমিতে লিখে আসেন নিজ নাম। প্রতিটি বাঁকে তার পথচলা শেষ নয় যেন শুরুই হয়। সম্প্রতি তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ান্টিক স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে পাওয়া এই স্কলারশিপ তার সাফল্যের ঝুড়িতে নতুন এক কুঁড়ি, যা প্রস্ফুটিত হয়ে জন্ম দিবে নতুন অর্জনকে।
অমিত সম্ভাবনাময় এই তরুণ পুলিশ অফিসার মো. ইমরান আহম্মেদ স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন। প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া রূপটি খুবই ইতিবাচক হবে, অন্য সব উন্নত দেশের মতোই অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পারবে দেশের জনগণ। সুবিধাবঞ্চিতরা সুবিধাভোগীদের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে মৌলিক সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবে, অর্থনৈতিকভাবে প্রতিটি জনগণ সমতা পাবে, বিশ্বের মধ্যে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগামী অবস্থান, আইনের সমতা ও সুশাসন এবং সর্বোপরি বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের গর্বিত অবস্থান এইসব লক্ষ্য বাংলাদেশে বাস্তবায়নের স্বপ্নেই পথ চলেন স্বপ্নদর্শী মো. ইমরান আহম্মেদ।
বিবার্তা/এসবি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]