শ্বাশতকাল থেকেই বাঙালি মেয়েদের একটা সহজাত প্রবণতা দেখা যায়, ঠাকুরমার ঝুলি কিংবা রূপকথার কল্পলোকের গল্প শুনতে শুনতে মা-চাচী-খালা-ফুফু কিংবা দাদি-নানির পাশে বসে— অলস বিকেলে নয়তো অবকাশে সুঁই-সুতার বুনন তোলে নকশিকাঁথা কিংবা পুতুলের পোশাকে। শৈশবের খেলার পুতুলের জামা বানাতে গিয়ে মেয়েরা অজান্তেই হয়ে ওঠে নকশাবিদ বা নকশার কারিগর। তবে, নকশা এতটাই সহজ কিছু নয়। এটি এক অতুলনীয় শিল্পের নাম যা একইসাথে মানুষের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যকে প্রস্ফুটিত করে প্রাণময় করে— চিত্তাকর্ষক রূপে। আর নকশার সেই শিল্পী? তিনি বিশেষণের ঊর্ধ্বে একজন— কারণ তিনি নিজের মনের রঙে রাঙান আরো অনেকের মন, সুন্দরের স্পর্শিত-স্পর্ধিত জীবন। তেমনই একজন শিল্পী আফসানা ফেরদৌসী।
বাংলাদেশের এসময়ের সাসটেইনেবল ফ্যাশন ডিজাইনার এবং উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল ফ্যাশন অ্যাকটিভিস্ট আফসানা ফেরদৌসী। শুধু এইটুকু বললে প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেলেও সত্যিকার অর্থে কমই বলা হয়। সৌন্দর্যে প্রাণসঞ্চারী এক অতুলনীয় শিল্পী আফসানা ফেরদৌসী। ফ্যাশনে-পোশাকে-ডিজাইনে যার কাজ অনবদ্য, ইতোমধ্যেই দেশে-বিদেশে হয়েছেন প্রশংসিত ও সমাদৃত। ফ্যাশন ডিজাইনিং করে তিনি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেছেন নিজস্ব স্বকীয়তায় অথচ প্রশংসার দাবিদার হিসেবে।
ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রিতে আফসানা 'বনবিবি' নামে খ্যাত। নিজের এক ফ্যাশন শোতে বনবিবি কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করেই তার কাজের স্বকীয়তা তাকে 'বনবিবি' হিসেবে খ্যাত করে তোলে। বনবিবি আফসানা সাসটেইবেল ফ্যাশন ডিজাইনার ও ফ্যাশন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে মানুষের জন্য কল্যাণকর, পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাজ করতে এক নিবেদিতপ্রাণ নারী।
তবে আফসানার শুরুটা বাঙালি অন্য দশটি মেয়ের মতো নয়, ছোটবেলায় সুঁই-সুতা কিংবা পোশাকের সাথে অতটা যোগসূত্র ছিল না তার, কৈশোর বা তারুণ্যে বলতে গেলে ফ্যাশন জগৎ নিয়ে তার কোনো ভাবনা বা আগ্রহ কিছুই ছিল না। ঈদে মা যে পোশাক কিনে দিতেন তাই পরত ছোট্ট আফসানা। বেশ বড় হয়েও পোশাকের ডিজাইন বা ফ্যাশন নিয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ ছিল না। কলেজ জীবনে যে সময়ে তার বান্ধবী নিজের পছন্দে নানা ডিজাইনের পোশাক পরতেন তখনো ছিলেন হাল ফ্যাশনের ব্যাপারে উদাসীন। ব্যাপারটা এমন যে কিছু একটা হলেই চলবে। খুব শখ করে পোশাক বা ফ্যাশন নিয়ে ভাবা আফসানার মধ্যে একদমই ছিল না। এমনকি কৈশোরে একবার তার খেয়ালি মন, এরকম ভেবেছিল যে, 'কোনকিছুই হবো না আমি'। কোন কিছুই হতে চাননি আফসানা, তবু আজকের সফল মানুষটি হয়ে ওঠার পেছনে যে উদ্যম যে স্বপ্ন তার বীজ শৈশবেই গ্রথিত হয়ে সুপ্ত ছিল মনে।
কিন্তু সেই স্বপ্নের গল্পটা খুবই বেদনার। তখন আফসানা প্রথম শ্রেণিতে পড়েন, তার পোষা প্রিয় বিড়ালটিকে পাড়ার ছেলেরা মেরে ফেলে। ছোট্ট আফসানার মন এই নির্মমতায় খুব বেদনাকাতর হয়ে ওঠে এবং বলে ওঠে, এমনকিছু করা চাই যাতে বিশ্বজুড়েই প্রাণীকূল নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়, যেন পরিবেশবান্ধব ও প্রাণীকূলের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে পৃথিবী। আর সেই স্বপ্নটাই বৃক্ষের ডালাপালা মেলতে শুরু করে যখন আফসানা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মজার বিষয়, ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ছিল না তার, এদিকে মা-বাবা চাইতেন মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। তবে কলেজের পাট চুকিয়ে ভর্তি হলেন ঢাকার বিজিএমইএ ইউনিভর্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করেন এটা হতে পারে তার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্র। পোশাকে, রঙে, ডিজাইনে বলা যেতে পারে প্রতিবাদের ভাষা, ছবিতে-তুলিতে আঁকা যেতে পারে এক স্বপ্নীল পৃথিবীর ছবি। অর্থাৎ, পড়াশোনার জগতই আফসানাকে নিয়ে আসে ফ্যাশনের জগতে, আর ফ্যাশনের জগত আফসানাকে নিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে- সে স্বপ্ন এক সাসটেইনেবল পৃথিবী গড়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আফসানা ফ্যাশন বই ও ম্যাগাজিন পড়তে পড়তে প্রেমে পড়ে গেলেন, ঠিক তখনই যেন ভেবে নিলেন, ফ্যাশনেই হবে ক্যারিয়ার এবং ফ্যাশনকে বিশ্বদরবারে নিয়ে যাবেন নিজের কাজের মাধ্যমে।
আফসানা বলেন, আমার পথচলা শুরু ২০০৮ থেকে, আমি পড়েছি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে, বিএসসি অনার্স চার বছরের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি কোর্সে। ফ্যাশনের হাতেখড়ি আমার বিশ্ববিদ্যালয়, তারপর বই, বিভিন্ন ফ্যাশন কম্পিটিশন, ফ্যাশন শো, এক্সিবিশন, চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ, আমাদের আশপাশের মানুষ, ডিজাইনার, আর্টিসান ইত্যাদি থেকেই ফ্যাশন জগৎ সম্পর্কে জেনেছি এবং তার মধ্য দিয়ে শিখেছি, শিখছি এবং ভবিষ্যতেও শিখে যাবো।
ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে ওঠা ও সফলতা প্রসঙ্গে আফসানা বলেন, আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে ছিলাম তখন ইউরো-বাংলা ফিউশন ফ্যাশন শোতে প্রথম হিসেবে বিজয়ী হই। তারপর ২০১১-তে এসডিসি ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন কম্পিটিশন, যেখানে আমি বাংলাদেশে প্রথম হই এবং সেই কম্পিটিশনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেটা হংকংয়ে হয়েছিল, সেখানে দ্বিতীয় হই এবং বাংলাদেশি হিসেবে এটা কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম অর্জন ছিল। তারপর আমি বিজিএমইএ অ্যাওয়ার্ড পাই কাজের জন্য ইউনিভার্সিটি থেকে। উইভার্স ফেস্টিভ্যালে ডিজাইনার অব টি ডে অ্যাওয়ার্ড পাই। ২০২২-এ ওমেন ইন লিডারশিপ থেকে আয়োজিত ইন্সপায়ারিং ওমেন অ্যাওয়ার্ডে ইন্সপায়ারিং ফিমেল ইন ফ্যাশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হই।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন জায়গায় আফসানার শো এবং এক্সিবিশন হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আলকেমি ফেস্টিভ্যাল লন্ডনে, বার্লিনে লোকাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন, বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক লন্ডনে, বোর্নিও ফ্যাশন উইক মালয়েশিয়ায়, নর্থ ইস্ট ফ্যাশন উইকেন্ড ইন্ডিয়ায়, মেক্সিকোতে ফ্যাশন শো, আসপাড়া ফ্যাশন উইক কাজাখস্তানে, বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক, ট্রেসেমে ফ্যাশন উইক, খাদি ফেস্টিভ্যাল, উইভার্স ফেস্টিভ্যাল, ঢাকা সামার রানওয়ে ইত্যাদি।
আফসানা অতি সম্প্রতি ইন্ডিয়ায় কানপুর ও কলকাতা থেকে নিজের কাজের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন, কানপুরে নবম আন্তর্জাতিক হ্যান্ডলুম অনুষ্ঠানে আফসানাকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন এবং হ্যান্ডলুম এক্সপার্ট হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ওমেন টাইমস আয়োজিত ইন্দোবাংলা বিজনেস কনক্লেভ-এ 'মোস্ট প্রমিজিং সাসটেইনেবল ফ্যাশন ডিজাইনার' (MOST PROMISING SUSTAINABLE FASHION DESIGNER হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
আফসানা ফেরদৌসী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫টির বেশি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছেন এবং একাধিক এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। আফসানার নকশাগুলো শৈল্পিক ছন্দে ফুটে ওঠে তার নানা কাজে। শীতলপাটি থেকে পটচিত্র, জামদানি মোটিফ, আর্কিটেকচারাল স্থাপত্য কিংবা গল্প, কবিতা, দেশের পশু-পাখি সবই তুলে ধরেন পোশাকে। ফ্যাশন ডিজাইনিং-এর মাধ্যমে সমাজের নানা সমস্যা, প্রতিকূলতা, পরিবেশ রক্ষা, সাসটেইনেবল পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন এবং পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করে তোলার গল্পচিত্র সবই উঠে আসে তার পোশাকে। আফসানার আরেকটি নজরকাড়া কাজ হলো আপ সাইক্লিং অর্থাৎ পরিত্যক্ত পোশাককে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা। আপ সাইক্লিং নিয়ে খুব বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চান আফসানা।
হংকংয়ে অনুষ্ঠিত সোসাইটি অব ডাইয়ারস অ্যান্ড কালারিস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস ডিজাইন কমপিটিশন, বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক লন্ডন, জার্মানিতে অনুষ্ঠিত লোকাল ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোজিশন ইত্যাদি ফ্যাশন শোতে তাঁর করা পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সামাজিক বক্তব্য। পোশাকের নকশায় কখনো বলেছেন পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করার কথা, কখনো লিখেছেন মাদকের বিরুদ্ধে উক্তি। একধরনের নৈতিক দায়বোধ লক্ষ করা যায় তাঁর পোশাকের নকশায়: একদিকে দেশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরা, অন্যদিকে পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয় রোধ করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা।
ইউনিভার্সিটি শেষে ২০১২ তে বাংলাদেশ রেডি মেইড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি'তে কাজ শুরু করেন আফসানা ফেরদৌসী। কর্মজীবনের শুরুটা ছিল টিম সৌর্সিং নামক একটি বায়িং হাউস থেকে। সর্বশেষ বাংলাদেশ গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির টিম গ্রুপের সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০১৫ সাল থেকে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের একজন কাউন্সিল মেম্বার। ২০১৬ সালে 'সোসাইটি অব ডাইয়ারস অ্যান্ড কালারিস্ট' আন্তর্জাতিক সংগঠনে যোগ দেন বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে। আফসানা ফেরদৌসী বাংলাদেশ ফ্যাশন রেভোলিউশনে কমউনিটি ম্যানেজমেন্টে লিড হিসেবে আছেন। ওয়ার্ল্ডস্কিলস এ প্রথম কোনো ফ্যাশন ডিজাইনার অ্যাসোসিয়েট মেম্বার অফ ওয়ার্ল্ডস্কিলস এক্সপার্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে আছেন তিনি।
আফসানা ফেরদৌসীর নিজের ব্র্যান্ড আছে যার নাম ও আফসানা ফেরদৌসী (এএফ)। এএফ ব্র্যান্ড শুরু থেকেই কোয়ালিটি এবং এথিকাল পণ্যের ওপর জোর দিয়ে আসছে। পরিবেশবান্ধব, প্রাকৃতিক রঙ, ৯৯ ভাগ হাতের সেলাই যা বাংলাদেশের নকশিকাঁথা থেকে শুরু করে লোকজ হাতের সেলাই স্থান পায় তার ক্লদিং ব্র্যান্ডে। বাংলাদেশে ফ্যাশনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চান আফসানা, লিখতে চান বাংলাদেশের ফ্যাশনের ইতিহাস নিয়ে বই।
আফসানা ফেরদৌসী শুধু একজন ফ্যাশন ডিজাইনার নন। তিনি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ফ্যাশন প্রতিযোগিতায় বিচারক, মেন্টর এবং ফ্যাশন টেকনোলজি এক্সপার্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—এসডিসি ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন কম্পিটিশন। আফসানা বলেন, আমি ২০১১-তে প্রতিযোগী ছিলাম আর ২০১৮ ও ২০২১ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলাম ইংল্যান্ডে।
বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্কিলস কম্পিটিশনের ২০১৯, ২০২১-এর ফ্যাশন টেকনোলজি স্কিলে আমি চিফ এক্সপার্ট, বিচারক এবং মেন্টর হিসেবে ছিলাম। ওয়ার্ল্ডস স্কিলস ২০১৯ যেটি রাশিয়ায় হয়েছিল, সেটায় আন্তর্জাতিক এক্সপার্ট এবং বিচারক হিসেবে কাজ করেছি এবং যেটি ছিল প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশির ফ্যাশন এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করা। ২০২২-এ ফিনল্যান্ডে দ্বিতীয়বারের মতো আমি এই প্রতিযোগিতায় এক্সপার্ট ও বিচারক ছিলাম। ফ্যাশন রেভল্যুশন থেকে আয়োজিত আপসাইকেল ইউনিভার্সে বিচারক, আইপিডিসি আয়োজিত বর্ণশিল্পী প্রতিযোগিতার একজন বিচারক হিসেবে কাজ করেছি—এরকম আরও অনেক প্রতিযোগিতায় কাজ করেছি।
আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ফ্যাশনে পড়ে শুধু যে ডিজাইনার হতে হবে—এমন নয়। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেক পেশা আছে, ফ্যাশন শিক্ষক, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজার, গার্মেন্ট টেক, ফেব্রিক টেক, স্টাইলিস্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপার, টেক্সটাইল এক্সপার্ট, ফ্যাশন স্টাইলিস্ট, ফ্যাশন সাংবাদিক, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার, প্রডাকশন ম্যানেজার, কমপ্লায়েন্স ম্যানেজারের পাশাপাশি আরও অনেক পেশার সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে। কাজের দক্ষতা থাকলে নারী-পুরুষ সমানভাবে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে।
আফসানা ফেরদৌসী সাসটেইনেবল ফ্যাশন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে নিজেকে আরো বিকশিত করার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে চান। আফসানা ফেরদৌসী নামে ক্লদিং ব্র্যান্ডের মাধ্যমে নিজের দেশের তাঁত, সূচি শিল্প ও ঐতিহ্যকে সঙ্গে করেই দেশের বস্ত্র শিল্প আরো এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তার। যতদিন বাঁচবেন ততদিন পোশাকের ডিজাইনে পরিবেশ ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলার পণ এই অপ্রতিরোধ্য গতিময় শিল্পীর।
বিবার্তা/এসবি/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]