
কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়ার দাপটে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে তারা কাজে বের হতে পারছেন না।
মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত চারদিক কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কুড়িগ্রামের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। কুড়িগ্রাম সদরের শ্রমজীবী আমজাদ, হালিম, কাচুয়া ও ময়না জানান, কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে তারা টানা দুদিন ধরে কাজে যেতে পারেননি।
শীত নিবারণে অসহায় ও দুস্থ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। পশুর শীত নিবারণে চটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, হিমেল বাতাসে শীতের কবলে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র মানুষ।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]