
বরিশালে ছাত্র–শ্রমিক সংঘর্ষ ও অন্তত অর্ধশত বাস ভাঙচুরের ঘটনায় সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা। রবিবার সকাল থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শ্রমিকরা অবস্থান নিলেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে ভ্রমণকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
হঠাৎ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের অনেকেই বিকল্প হিসেবে মাহিন্দ্রা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অল্পসংখ্যক ব্যক্তিগত যানবাহনের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। তবে এসব পরিবহনে দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, সংঘর্ষে ভাঙচুর হওয়া বাসগুলো চলাচলের উপযোগী নয় এবং বহু শ্রমিক আহত হয়েছেন। তারা জানান, “ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।”
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, “বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে। অসংখ্য বাস ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে, কাউন্টারগুলোতেও আগুন দিয়েছে। মালিকদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।” তিনি দ্রুত ঘটনার বিচার ও সমাধান দাবি করেন।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে বাস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাস ভাঙচুরের পর মালিক–শ্রমিকরা প্রতিবাদ হিসেবে বাস চলাচল বন্ধ করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং সংকট সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাফ ভাড়া ইস্যুতে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ, হাতেম আলী কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীরা নুর পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় অর্ধশত বাস ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]