
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ভাঙচুরকৃত বাসগুলোর ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। কিছু মাহিন্দ্রা ও সিএনজি যাত্রী পরিবহন করলেও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, বরিশাল থেকে গৌরনদীতে বাসে ভাড়া ছিল ৭০ টাকা। এখন ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে মাহিন্দ্রায় যেতে হচ্ছে।
জেসমিন আক্তার নামের এক যাত্রী জানান, বানারীপাড়ায় বাসে ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। এখন ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে আমাদের সিএনজিতে যেতে হচ্ছে।
হাফ ভাড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২০ থেকে ৩০টি বাস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল কয়েক ঘণ্টা ব্যাহত হয়। পরে যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে রোববার সকাল থেকেই এ ঘটনায় প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখবো। আমাদের যে গাড়িগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে পরবর্তীতে যেন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এরপর গাড়ি চলাচল শুরু হবে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]