
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার দুর্গম চরে খড়ের মাঠ দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে ৩জন নিহতের ঘটনায় আরো একটি হত্যা মামলা দাযের করা হয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) রাতে কাকন বাহিনীর সদস্য নিহত লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রতিপক্ষ মন্ডল বাহিনীর ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে দৌলতপুর থানায় দু’টি হত্যা মামলা দায়ের হলো।
এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মন্ডল বাহিনীর সদস্য নিহত আমান মন্ডলের বাবা মিনহাজ মন্ডল বাদী হয়ে কাকন বাহিনীর ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তবে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও হত্যাকান্ডে জড়িত অদ্যাবধি কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজায় বিস্তীর্ণ খড়ের মাঠ দখল কে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাঘার মন্ডল বাহিনী ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বাঘা উপজেলার নিচখানপাড়া এলাকার মন্ডল বাহিনীর মিনহাজ মন্ডলের ছেলে আমান মন্ডল (৩৬) এবং শুকুর মন্ডলের ছেলে নাজমুল মন্ডল (২৬)। নিহতরা একসময় দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় এলাকায় বসবাস করতেন। সেসময় চরাঞ্চলের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল তারা। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে তারা বাঘার নিচখানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং গড়ে তোলেন মন্ডল বাহিনী।
অপরদিকে ঘটনার পরদিন ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে পদ্মার চরে পদ্মার নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাকন বাহিনীর সদস্য লিটন হোসেন (৩০) এর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামিরুল ইসলামের ছেলে। পদ্মার চরে খড়ের মাঠ দখল নিতে কাকন বাহিনীর পক্ষে বন্দুকযুদ্ধে অংশ নিলে প্রতিপক্ষ মন্ডল বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে লিটন। মন্ডল বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।
পৃথক মামলা বিষযে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, পদ্মার চরে দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে ৩জন নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ নিয়ে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। পৃথক হত্যার ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান চলামান রয়েছে।
বিবার্তা/শরীফুল/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]