
কুড়িগ্রামের উলিপুরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা প্রতিবেশী টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে একটি পরিবার। উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেও ৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন প্রতিকার পায়নি অবরুদ্ধ ঐ পরিবার। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা অন্যের জমির আইল ও অপর প্রতিবেশী ২/৩টি বাড়ির ভিতর দিয়ে অনুরোধে যাতায়াত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফরা গ্রামে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অবরুদ্ধ রাস্তা খুলতে না পেরে গত মঙ্গলবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন এর ছেলে রবিউল ইসলাম(৫৩) তার নিজস্ব জমির উপর দিয়ে নির্মিত প্রায় ৮ ফুট প্রস্থের এবং ১০০ ফুট দীর্ঘ রাস্তা হয়ে উলিপুর থেতরাই সড়ক হতে পূর্ব দিকে মনিরের বাড়ি পর্যন্ত একটি ইউনিয়ন পরিষদের রেকর্ডি রাস্তা দিয়েই যুগ যুগ ধরে যাতায়াত করে আসছিল। সম্প্রতি, রাস্তাটি নিয়ে রবিউল ইসলামের প্রতিবেশী আইনুল হক, এরশাদুল হক, হারান আলী ও হাসেন আলীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত জুন মাসে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। মারামারির ঘটনায় রবিউল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গত জুন মাসে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে প্রতিপক্ষরা রবিউল ইসলামকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। জানা গেছে, মামলা তুলে না নেয়ার কারণেই গত ১৯ অক্টোবর রবিউলের প্রতিপক্ষরা টিনের বেড়া দিয়ে রবিউল ইসলামের একমাত্র যাতায়াতের পথটি বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে রেকর্ডি রাস্তার সাথেই রবিউলের নিজস্ব রাস্তার সংযোগস্থলে বেশ কিছু সুপারির চারা গাছ রোপন করে রাখে। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রবিউল ইসলামের ৪ সদস্যের পরিবারটি। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, রাস্তা বন্ধ করা আইনুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, রবিউল ইসলামের রাস্তার মাথায় রেকোর্ডি রাস্তার সাথে আমাদের পারিবারিক ৩ শতকের কবরস্থান থাকায় আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।
এ ঘটনায় উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
বিবার্তা/হাফিজুর/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]