সরকারি কাজে বাধা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পাওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবদলের নেতা সোহেল জাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানানো হয়।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, সোহেল জাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।

সোহেল জাহান (৪৫) জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জেলা শহরের গোকর্ণ ঘাটের বাসিন্দা হলেও সোহেল বর্তমানে পরিবার নিয়ে শহরের কাজীপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের কাজী মাহমুদ শাহ্ (রাঃ) সড়কসংলগ্ন কাজীপাড়ার উত্তর দিকের ১ নম্বর খাত খতিয়ানভুক্ত ১৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) একটি প্রকল্প থেকে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, জারিকারক বোরহান উদ্দিন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জায়গাটি মাপজোখ করতে সেখানে যান। ও-ই সময় যুবদল নেতা সোহেল জাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে মাপজোখে বাধা দেন। সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও জারিকারক বোরহান উদ্দিনকে তিনি জানান, সেখানে তার নিজের জায়গা রয়েছে। তারা সোহেলর বাধা উপেক্ষা করে মাপজোখ করতে গেলে সার্ভেয়ার ও জারিকারকের সঙ্গে সোহেল জাহানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জারিকারক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যুবদল নেতা সোহেলের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন আহত হন।

ওই ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া কাজীপাড়ার একটি বাসা থেকে সোহেল জাহানকে আটক করেন।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক দিনের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস