
ভারতীয় প্রতারকের বিয়ের প্রলোভনে পাচারকালে সুনামগঞ্জর তরুণীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করলো র্যাব-৯।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভারতের আসাম রাজ্যের রেজাউল করিম এর সাথে বাংলাদেশের নাগরিক সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মোছাঃ তাছনিম জাহান আলো (২০) এর সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যোগাযোগ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রতারক ও মানবপাচারকারী রেজাউল করিম কৌশল মিথ্যা বিবাহের আশ্বাস ও প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের নিজ এলাকা থেকে গত ১৩ অক্টাবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন। ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর। তার বড় ভাই বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জের একটি যৌথ আভিযানিক দল মঙ্গলবার ১৪ অক্টাবর আনুমানিক ১৫:১০ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা এলাকার “হোটেল থ্রী স্টার আবাসিক” হোটেলের ৫০৭ নং রুম অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম হলেন - মোছাঃ তাছনিম জাহান আলো (২০), পিতা- আব্দুল আউয়াল, হাছাননগর, সুনামগঞ্জ সদর, সুনামগঞ্জ। ঘটনাস্হল থেকে রেজাউল করিমকে পাওয়া যায়নি।
ভিকটিমের কাছ থেকে জানা যায়, রেজাউল করিম ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক এবং হাটসএ্যাপ এর মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করতেন। রেজাউল করিম ভিকটিমকে বিবাহ করে বাংলাদশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত নিয়ে যাবে মর্মে প্রলোভন দেখায় এবং হোটেলে অপক্ষা করতে বলে।
অনুসন্ধান জানা যায় যে, রেজাউল করিম একজন প্রতারক ও মানবপাচারকারীর সক্রিয় সদস্য।
পরবর্তীতে উদ্ধাকৃত ভিকটিমকে তার পরিবারের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্হিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-৯, সিলেট এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৯ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]