'ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে যানজটের জন্য ট্রাফিকব্যবস্থাকে দায়ী'
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৫৯
'ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে যানজটের জন্য ট্রাফিকব্যবস্থাকে দায়ী'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শন করতে এসে ভাঙা সড়ক নয়, যানজটের জন্য ট্রাফিকব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এখানে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে না। একদিকে গাড়ি চলছে, অন্যদিকে চলছে না। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত গাড়ি ঢুকে চার লেন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।


কয়েক মাস ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত ভাঙা সড়ক ও নিয়মিত যানজট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত প্রকাশিত হলে সড়কটি পরিদর্শন করতে বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান সড়ক ও পরিবহন উপদেষ্টা। বেহাল দশা দেখতে এসে নিজেরই যানজটের ‘বিপদে’ পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়েন আসেন তিনি। কয়েক কিলোমিটার পথ আসেন উল্টোপথে। তার মাথায় হেলমেট থাকলেও চালকের মাথায় ছিল না।


উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে সেটা ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতির কারণে। নইলে একদিকে গাড়ি চলত, আরেকদিকে বন্ধ থাকত না।


এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে। বিশ্বরোড এলাকায় একটি ফ্লাইওভার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরকে ডিজাইন প্রণয়নসহ সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, সবাই শুধু রাস্তা চায়। এভাবে রাস্তা হলে বাড়ি, শিল্প কারখানা এমনকি কবর দেওয়ার জায়গা থাকবে না। এই সড়কে যেটা দেখলাম ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এত যানজট থাকত না। হয়তো আমার আধঘণ্টা সময় বেশি লাগত। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ যাতায়াতটি ‘বাজে অভিজ্ঞতা’ নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।


সড়ক পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, ঊর্ধ্বতন ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকায় অফিসে না বসে বিশ্বরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা অফিসে না পাওয়া গেলে তাদের সাসপেন্ড (বহিষ্কার) করা হবে।


প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়কের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় প্রায় আট বছর আগে। পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ভারতীয় ঋণ ও দেশীয় অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।


গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন ক্ষমতাচ্যুত সরকার দেশত্যাগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনও চলে যান। কয়েক মাস পর তারা ফিরে এলেও নির্মাণকাজের পণ্য চুরি হওয়ায় তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। তবে জরুরি কিছু মেরামতকাজ তারা করেন। উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে গত তিন দিন ধরে সংস্কারকাজ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক উপবিভাগ।


বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com