স্বজনদের একনজর দেখতে হিলি জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীদের উপচে ভিড়
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৭
স্বজনদের একনজর দেখতে হিলি জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীদের উপচে ভিড়
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসেন শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ। সীমান্তে শূন্য রেখায় কাঁটা তারের বেড়া ও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে যদিও তারা কাছাকাছি আসার সুযোগ পান না। তবুও দূর থেকে কাঁটা তারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে নিজের দুই নয়ন দিয়ে স্বজনকে এক নজর দেখে আত্মতৃপ্তি পেতেই সীমান্তে আসেন তারা।


বুধবার (১ অক্টোবর) সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দুপুর বারোটার দিক থেকে সন্ধ্যার পরে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নানা বয়সি মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে সীমান্ত এলাকা। বিকেল ৫টার দিকে হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর নারী-পুরুষরা। ওপারে ভারত অভ্যন্তরে কাঁটাতারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ। তাদের অপেক্ষা দূর থেকে স্বজনদের এক নজর দেখা। কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে তুলছেন সেলফি, কেউ আবার সীমান্তের ওপারের মন্দির দেখার জন্য দিচ্ছেন উঁকিঝুঁকি। কেউ এসেছেন অটোরিকশা, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল যোগে। তাদের আগমনে বসেছে অস্থায়ী কিছু দোকানপাট।


গাইবান্ধা পলাশবাড়ী থেকে বাবার সাথে আশা কিশোর অনিক কুমার বসাক বলেন, পূজা উপলক্ষ্যে কেনা নতুন জামা কাপড় পড়ে অনেক মজা পেয়েছি হিলি সীমান্তে এসে। এতো দিন শুধু শুনেছি। আজ বাবার সাথে এসে নিজ চোখে দেখলাম। সৃতিকে ধরে রাখতে সেলফি ও বিভিন্ন ভাবে ছবি তুললাম এক কথায় খুবই মজা পেয়েছি।


পাঁচবিবি থেকে আসা রনজু বলেন, আজ নবমী পূজা চলছে পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করছি। তাই সীমান্তে আসছি পরিবার নিয়ে দেখতে। এপার থেকে ভারতে পূজা মণ্ডপ দেখা যাচ্ছে কিন্তু যেতে পারছি না। তারপরও শান্তি দূর থেকে পূজার অনুভূতি নিতে পারছি। হিলি রেলস্টেশনে ঘুরলাম পরিবার নিয়ে ঘুরলাম খুব মজা পেয়েছি।


নওগাঁ থেকে মিনা রানী বলেন, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে সীমান্তে আসছি ভারতে স্বজন আছে তাদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এসে শুনি এখানে দেখার করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলে যেতে পারবে। দূর থেকে হলেও স্বজনদের নিজ চোখে দেখলাম এতেই তৃপ্তি। তবে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ উৎসবগুলোতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দেখা করার সুযোগ করে দিবেন।


বিবার্তা/রব্বানী/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com