
টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হিলির জনজীবন। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় চরম ভোগান্তি এখানকার বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে অচল অবস্থা।
গেল সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিং এখনো চলছে এ অঞ্চলে। উৎপাদন ঠিক থাকলেও লোডশেডিং কেন হচ্ছে তার সঠিক উত্তর নেই স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার এই চক্রে ঘুম, কাজ, পড়াশোনা-সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও ঠিকমতো তোলা যাচ্ছে না, ফলে নিত্যদিনের কাজেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। তীব্রে গরমে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ।
হিলি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল সাব অফিসের লাইনম্যান গ্রেড-১ হাসানুজ্জামান লোডশেডিং বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এই উপজেলায় বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা ৫ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে মিলছে মাত্র ২ মেগাওয়াট ফলে দিতে হচ্ছে লোডশেডিং। বৃষ্টি হলে লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুইটি ইউনিটে বর্তমানে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে তবে দেশের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে একটু চাপ বেড়েছে। উৎপাদন হওয়া বিদ্যুৎ বণ্টন করা হয় জাতীয় গ্রিড থেকে।
বিবার্তা/রববানী/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]