
হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবারের বিষয়ে গ্রামীণ জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ব্যতিক্রমী এক ‘পুষ্টি মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারী সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন’র (গ্রাউস) ‘অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পুষ্টিকর সবজি, ফলমূল ও পানি প্রদর্শন করা হয়। ফিতা কেটে উদ্বোধনের পর মেলার স্টল পরিদর্শন শেষে প্রকল্পের প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না’র সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুষ্টি আপা সুমি বড়–য়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আশ্রাফ মাহমুদ, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর খুকু মনি বড়–য়া, লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেযারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত, গ্রাউস’র ফোকাল পার্সন মেহেরুন্নেছা ও প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা থুইচাহ্লা মার্মা প্রমুখ অতিথি ছিলেন। এর আগে নাটিকার মাধ্যমে গ্রামীণ মা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন;র সার্বিক সহযোগিতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আয়োজিত মেলায় সচেতনতামূলক ৬টি স্টলের মাধ্যমে মা, শিক্ষার্থী ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে নতুন করে পরিচয়ের পাশাপাশি খাবার নির্বাচন, মান সম্মত খাবার তৈরির ধাপ, হাত ধোয়া ও সবজি কাটার ধাপ তুলে ধরেন প্রকল্পের প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না। স্টল পরিদর্শনের সময় অতিথিবৃন্দ এই ধরনের অভূতপূর্ব কার্যক্রম দেখে প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসাসহ ভিটামিন, আমিষ, শর্করা, তেল, চর্বি ও পানি এবং পুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। মেলায় অংশ গ্রহণ করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী, মা ও শিক্ষক।
এ সময় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- শুধুমাত্র দামি খাবারেই পুষ্টি রয়েছে, এমন ধারণা সঠিক নয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমূলেও যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা নিয়মিত গ্রহণ করলে পরিবারের সব সদস্য সুস্থ থাকতে পারেন।
বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি ও খাবারের প্রতি মানুষদের এক ধরনের অবহেলা ছিল। বিশেষ করে শিশুদের সুস্থ্য ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে এই ধরণের সহজলভ্য পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি গ্রহণের যে কোনো বিকল্প নেই, বিষয়টি নতুন করে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান- মেলায় আগত মা পুর্নিমা রানী বসাক, মোরশিদা বেগম ও খিংসাইনু মার্মা। এ বিষয়ে প্রকল্পের প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না বলেন, মূলত জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, পুষ্টি সম্পর্কে ভূল ধারণা, ক্রটিপূর্ণ খাদ্য অভ্যাস ও কুসংস্কার প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া জন্য এ মেলার আয়োজন।
বিবার্তা/আরমান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]