‘নামাজে থাকা’ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা
ওসি-ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫০
‘নামাজে থাকা’ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ ও পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন নগর বিএনপির এক নেতা। তাঁর দাবি, ঘুষে ও চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে ‘মিছিলে না থেকেও’ সন্ত্রাসবিরোধী মামলার আসামি করা হয়েছে।


অভিযোগকারী মাহবুব আলম (৫২) নগরীর ১২ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি ডবলমুরিং থানার সিটিজেন ফোরামেরও সদস্য। তাঁর দাবি— ঘুষ দাবি; ডবলমুরিং মডেল থানার সাবেক ওসি তদন্ত সাফিউল ইসলাম তাঁর কাছ থেকে শুরুতেই একবারে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। পরে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।


বর্তমান ওসি বাবুল আজাদের ভূমিকা হলো সম্প্রতি থানার সিটিজেন ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে গেলে বের হওয়ার সময় বাবুল আজাদও টাকা দাবি করেন। একটা কাজে কিছুদিন আগে ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছেন।


মামলায় নাম ঢোকানো হয় যেভাবে-গত ১৯ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদের হাজীপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের মিছিলে তিনি উপস্থিতই ছিলেন না। নামাজে ছিলেন, তার ভিডিও প্রমাণও আছে। তবুও মামলা তালিকায় ৩৬ নম্বরে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে।


পরদিন থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া আরও ১৫–২০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই মামলাতেই মাহবুব আলমের নাম ঢোকানো হয়।


অভিযোগকারী ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মাহবুব আলম বলেন, “আমি বিএনপির নেতা হলেও ডবলমুরিং থানায় সবসময় সহযোগিতা করেছি। সিটিজেন ফোরামের সদস্য হিসেবেও কাজ করি। অথচ আমাকে টাকার জন্য হয়রানি করা হচ্ছে। আরও অনেক ঘটনা। তবে কমিশনারকে জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।


ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, মামলা হয়েছে এখন তদন্তে যা হওয়ার তাই হবে। আমার বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।


সিএমপি পশ্চিম জোনের ডিসি হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন—“মামলায় বাদী পুলিশ। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে। কেউ অর্থদাতা, কেউ প্রশ্রয়দাতা বা কেউ মিছিলে অংশ নেয়। বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য আসায় তদন্তে যাচাই করা হচ্ছে। দোষী না হলে কাউকে প্রসিকিউট করা হবে না।


পুলিশ ডিসি কবির ভূইয়া আরও বলেন, 'উনিও গত ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন ব্যাবসা বাণিজ্য করেছে আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে যেমন মোর্শেদুল আলম, আ জ ম নাছির, সাইফুল ও কমিশনার ছাবের এর সাথে। তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হবে।'


বিবার্তা/জাহেদ/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com