
চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা থেকে আসা কোনো ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ১৪টি রেললাইনে প্রবেশ করতে পারে। তবে সিলেট থেকে আসা কিংবা সিলেট যাওয়ার কোনো ট্রেন শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত লাইন, ১নং এ প্রবেশ করানো হয়।
এ নিয়ে ঘটে যায় বিপত্তি। চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী কোন ট্রেন যখন আখাউড়া প্রবেশ করে। সেই সময়ে সিলেট থেকে আখাউড়ায় প্রবেশ করতে পারেনা। কারণ ১নং লাইনে সিলেটগামী ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় আরেকটি ট্রেনকে সিলেট অভিমুখে পরবর্তী স্টেশন আজমপুর স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দিতে হয়।
ওই ট্রেনটি আখাউড়া ছেড়ে আজমপুর পার হওয়ার পর চট্টগ্রাম অভিমুখের ট্রেন আখাউড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া-আসার ট্রেনগুলো শুধু একটি মাত্র লাইনে যাত্রাবিরতি করানোর বিপত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে
অদ্ভুদ এক তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত রেলওয়ের জমি সংক্রান্ত মামলার কারণে প্রয়োজন অনুযায়ী রেললাইন নির্মাণ করতে না পারায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই ট্রেনের বিলম্ব হয়। বিশেষ করে রাতের বেলা সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট পথে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, সিলেট যাওয়া-আসার ট্রেনের জন্য ১নং ও ৬ নং লাইন নির্ধারণ করে রেলপাত বসানোর কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ৬নং রেললাইনে ট্রেন প্রবেশে রেলওয়ে স্কুল সংলগ্ন যে পথ, সেটি নিজের দাবি করে এক ব্যক্তি মামলা করে দেন। যে কারণে সিলেট থেকে যাওয়া-আসার জন্য লাইনের সংযোগ দেওয়া যায়নি। প্রায় ২ বছর ধরে লাইনটি রেলগেইট এলাকায় এসে থেমে আছে। যা স্টেশন থেকে ১০০ গজের মতো দূরে।
ঘটনা সম্পর্কে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন কেবিন স্টেশন মাস্টার মো. মুনতাসির বলেন, সিলেটে যাওয়া-আসার জন্য শুধুমাত্র ১নং লাইন ব্যবহার করা হয়। যে কারণে সিলেটগামী ট্রেন চলে আসায় সিলেট থেকে আসা ট্রেন আরেকটি স্টেশনে থামিয়ে রাখতে হয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধে কারণে ২ ধরে আরেকটি লাইনের কাজ এখনো করা যায়নি বলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত জানান।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]