
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাসায়নিক সার সংকট দেখা দিয়েছে৷ কৃষকরা দুই-তিন দিন ঘুরেও সার ক্রয় করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। এতে সময়মতো বীজ বপন ও জমিতে সার প্রয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি অফিস বলছেন, কালোবাজারে সার বিক্রি রোধে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
কৃষকরা দ্রুত পর্যাপ্ত সার সরবরাহ ও কার্যকর মাঠ মনিটরিং নিশ্চিত করতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, সংকট অব্যাহত থাকলে মৌসুমি ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
চিলমারী ইউনিয়নের কৃষক হিজল হোসেন বলেন, চিলমারীতে সার না পেয়ে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলা থেকে ৪২ কেজি ইউরিয়া সার নিয়ে আসতে হয়েছে। তিনদিন ধরে বাজার ঘুরেও সার পাইনি। সময়মতো সার না পেলে গম ও সরিষার ফলন কমে যাবে।
রানীগঞ্জ এলাকার কৃষক মনোয়ার হোসেন জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করছে ; যেখানে ইউরিয়ার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ হাজার ৩০০ টাকা, সেখানে তা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১৮'শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকদের অভিযোগ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং করছেন না। যদিও ডিলাররা বরাদ্দ কম থাকার কথা বলছেন, অতিরিক্ত টাকা দিলে পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকদের দাবি, সংকটকে কাজে লাগিয়ে খোলা বাজারে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, আমন ধান চাষ লেট হওয়ায় এবং চরে চিনাবাদাম ভালো হওয়ায় সারের চাহিদা বেড়েছে। অক্টোবরের মধ্যে এই সংকট থাকবে না, সেসময় বরাদ্দ বেশি আছে। কালোবাজারি রোধে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।
বিবার্তা/রাফি/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]