পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

৮ জুন, রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলা দর পাঁচপীর ইউনিয়নের মোন্নাপড়া এলাকায় এই ঈদ উৎসব উদযাপন করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শহীদ সাজুর স্ত্রী শারমিন আক্তার, শহীদ সাগরের বাবা রবিউল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় জেলায় জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যাক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে পঞ্চগড়ের নিহত ৫ ব্যাক্তির স্বজন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত শহীদ আরেফিনের পরিবারের সদস্যসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে ফেরত নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান। একই সাথে আর কেউ যেন স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সর্তক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে তাদের পরিবারগুলোকে পুর্নবাসনের জন্য সরকার থেকে এবং আমরা আমাদের বিএনপি'র পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি বিষয়ে আমরা খেয়াল করেছি এই যে জুলাই আন্দোলনে শহীদরা আহতরা তারা কিভাবে দিনাতিপাত করছে তাদের সন্তানরা কেমন আছেন, তাদের স্ত্রীরা কেমন আছেন, তারা কিভাবে দিনকালাতীপাত করছেন এবং আগামী দিনে তাদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায়, তাদের পাশের দ্বারা যায় কিনা, তাদের পাশের তারার ক্ষেত্রে কি কি করনীয় সেগুলো আমরা প্রত্যেককে ধারণ করি কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এভাবে আমরা আদৌ সচেষ্ট নই। ঈদ উৎসব ভাগাভাগি করার জন্যই আমরা বিএনপি'র পক্ষ থেকে পঞ্চগড় জেলার যারা শহীদ হয়েছেন আহত হয়েছে তাদের পরিবারদের নিয়ে এই ঈদ মিলন মেলার আয়োজন করেছি। এই মিলন মেলার মধ্যে দিয়েই ঈদ আনন্দো, বিনোদন ভাগাভাগি করছি। পাশাপাশি আগামী দিনে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এই শহীদরা এই আহতরা ঠিক ৭১ এর বাংলাদেশে যেভাবে আমরা শহীদ পেয়েছিলাম, মুক্তিযোদ্ধা পেয়েছিলাম, তারা যেমন আমাদের সমাজে সম্মান পান, মর্যাদা পান ঠিক তদরুপ আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এই শহীদরা, আহতরা আমাদের সমাজে যেন সন্মান, মর্যাদা পান। তাদের সন্তানরাও যেন সমাজে মর্যাদার সাথে বেড়ে ওঠে।

বিবার্তা/গোফরান/এসএস