
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলে দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচি পালন করার লক্ষ্যে নীলফামারীর জলঢাকার তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের নেতৃত্বে তিস্তা তীরবর্তী কৈমারী, শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ী ও গোলমুন্ডা ইউনিয়নে গণসংযোগ করা হয়।
এসময় আলমগীর সরকার বলেন, আমাদের এই রংপুর বিভাগে প্রধান নদী তিস্তা। এই তিস্তা নদী বহমান ছিল যুগ যুগ ধরে যার ফলে এ অঞ্চলে পানির স্তর উপরে থাকে। গজলডোবায় বাধ দিয়ে আমাদের এই বহমান তিস্তার যে গতি সেই গতিকে থামায় দিল ভারত। শহীদ জিয়াউর রহমান তিস্তাকে কেন্দ্র করে তিস্তার পানি রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর ক্যানেলের মাধ্যমে সেচে প্রদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু ভারত গজল ডোবায় বাঁধ দিয়ে ব্যারেজটাকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। যার ফলে বিপদে রয়েছে তিস্তা তীরবর্তী মানুষেরা। কারণ বন্যা মৌসুমে ভারতে যখন অতিবৃষ্টি হয় তখন কোনো পূর্ব সতর্কীকরণ বার্তা ছাড়াই গজল ডোবার বাঁধ খুলে দেয়। যার ফলে আমাদের এই অঞ্চলে বন্যা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শুকনা মৌসুমে গজল ডোবার বাঁধ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আমাদের যে প্রাপ্য পানির হিস্যা সেটি থেকে আমরা বঞ্চিত হই।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড় হয়ে উঠবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির মতো সুন্দর নগরী। নদীর দুই পাশে ভরাট করে চীনের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দু’পাড়ে পরিকল্পিত শহর, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি সেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, ইপিজেড নির্মাণ, সোলার পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হতো। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হতো। এটার একটি প্রস্তাবও দিয়েছিল চীন। কিন্তু ভারতের মোদির বিরোধিতার কারণে আওয়ামী লীগ সরকার এটার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবাই এক হয়ে আওয়াজ তুলবো।
গণসংযোগে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম বাঙালি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ভুট্টু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুর আলম, সদরের ইটাখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী, গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, তাতীদলের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/সুজন/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]