বিশেষ প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে জয়ী হতে মরিয়া বিএনপি-জামায়াত
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে জয়ী হতে মরিয়া বিএনপি-জামায়াত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত এক ঐতিহ্যবাহী ও বহুস্তরীয় সাংস্কৃতিক নিবাস। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত এই জেলা ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনিকভাবে পূর্ণতা লাভ করলেও এর প্রাচীন অস্তিত্ব ও ঐতিহাসিক পরিচয় সুদীর্ঘকালব্যাপী প্রথিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অখাউড়া উপজেলায় রয়েছে স্থলবন্দর যা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দেশীয় পণ্য ভারতে আমদানি রপ্তানি করা হয়। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশেষ মর্যাদা ধারণ করে। সংগীত, সাহিত্য, লোকনাট্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলার ক্ষেত্রে এ জেলার অবদান অত্যন্ত প্রসিদ্ধ।


সরাইল উপজেলার বারিউরা পুরাতন সেতু (হাতিরপুল), আখাউড়ার কালভৈরব মন্দির এবং বিভিন্ন প্রাচীন মসজিদ-মন্দির এই জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিগণিত। কালভৈরব মন্দিরে অবস্থিত বিশাল শিবমূর্তি শুধুমাত্র ধর্মীয় পবিত্রতার প্রতীক নয়, বরং শিল্প-ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এ জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্পদ হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জ্বালানি উৎস। এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে আহরিত প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প কার্যক্রম এবং গৃহস্থালির জ্বালানি সরবরাহে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে।


এছাড়াও আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সারকারখানা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শিল্পোন্নয়ন ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ জেলা জাতীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে ক্রমবর্ধমান অবদান রেখে চলেছে। এ জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে ৬ টি সেগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর)। ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর জেলার শহর, গ্রাম ও শিল্প এলাকা। কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, এনসিপি সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। আগে ভাগে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে আছে জামায়াতে ইসলামী।


জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও সদরসহ কয়েকটি আসনে দলটির নেতারা তৎপর রয়েছেন। এককভাবে প্রতিটি আসনে প্রচারণা চালাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটিতে এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ দুজন দুটি আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিতে একসময় আওয়ামী লীগের প্রভাব ছিল। ৫ আগস্টের পর দলটির নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। একই ভাবে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর)


এই আসনটিতে আগে জিততে পারেনি বিএনপি। ১৯৭০ সালের পর আওয়ামী লীগ আটবার, জাপা দুবার, ন্যাপ একবার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুবার জয়ী হয়েছেন। এবার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হান্নানকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আবদুল হান্নান এ প্রতিবেদককে জানান, “১৯৯১ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে রাজনীতি শুরু করি। ১৯৯৭ সালে আমি ঢাকাস্থ নাসিরনগর ছাত্রকল্যাণ সমিতির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমি ২০০৪ সালে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি র্নিবাচিত ছিলাম। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ছিলাম। ২০২৩ সালে আমি উপজেলা বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি প্রচারণা চালাচ্ছি ইনশাল্লাহ আমার পক্ষে ধানের শীষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে”।


আসনটি থেকে প্রথমবারের মতো ধানের শীষ প্রার্থীর জয়লাভের আশা করা হচ্ছে।


অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর দল থেকে মনোনয়ন পান অধ্যাপক এ কে এম আমিনুল ইসলাম । তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “আমি ছাত্র জীবন থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সাথে জড়িত আছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুইবার এবং নাসিরনগর উপজেলায় দুইবার আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সেক্রেটারি হিসেবেও নিয়োজিত ছিলাম। ২০২৩ সালের শেষের দিকে নাসিরনগর উপজেলার আমিরের দায়িত্ব আমার কাছে আসে। এখন আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের দল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া - ১ আসনের মনোনীত প্রার্থী। মাঠে পর্যায়ে আমাদের প্রচারণা চলছে। প্রতিদিন উঠান বৈঠক করছি। প্রতি গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি এবং ভালো সারাও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা দুইটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি জামায়াতে ইসলাম নাসিরনগর এর পক্ষ হতে দুটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করব যা ২৭ নভেম্বর লালপুর বাজারে এবং ২৮ নভেম্বর বলনগর অনুষ্ঠিত হবে”।


এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা হুসাইন আহমেদ আলী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাইদুল্লা বিন আনসারী মাঠে আছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ)


এই আসনে বিএনপি ছয়বার, জাপা তিনবার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। এখানে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। পাশাপাশি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যেও বিরোধ। দলীয় তথ্যে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে সক্রিয় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক রুমিন ফারহানা। এ ছাড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, জেলা বিএনপির সদস্য আহসান উদ্দিন খান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দেব, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুল ইসলাম ঠাকুর, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।


অন্যদিকে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের সদস্য ও জেলার আমির মোবারক হোসেনকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। জামায়াতের মনোনয়ন পাওয়া আমির মোবারক হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে আমরা প্রচারনা শুরু করে দিয়েছি। জনগণের সমাজকল্যাণমূলক কিছু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রায় ২৫ টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। জনগণের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আমরা জনগণের কাছে আশাবাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনে জয়লাভ করব।


বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, ‘এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। আমরা চাই, দল থেকে ধানের শীষ প্রতীকের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।’


এখানে জোটের প্রার্থী হিসেবে হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিবকে মনোনয়ন দেওয়ার আলোচনা আছে।


আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ করছেন জামায়াত নেতা মোবারক হোসেন আকন্দ। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের আশুগঞ্জ উপজেলার সহ-সভাপতি নেছার আহমদ আন-নাছিরী, বাংলাদেশ খেলাফত মসজিসের সভাপতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম খন্দকার, সিপিবির সরাইল উপজেলা সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় ও এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মাহদী প্রার্থী হতে পারেন বলে মতবিনিময় রয়েছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর)


১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসনটিতে বিএনপি জয় পেয়েছিল। এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে নির্বাচনের মাঠে বিএনপির মনোনীত হন খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। তিনি এই আসনে ২০১১ সালে উপ-নির্বাচন, ২০১৮ সালের বিএনপি'র প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিগত সময়ের নির্বাচনের প্রার্থী হয়েও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবুও অদম্যভাবে তিনি এখনো নির্বাচন মাঠেই রয়েছেন। এছাড়া আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন তিনি। তরুণদের মাঝেও রয়েছে তার ব্যাপক আগ্রহী ও প্রচারণা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে সংসদ সদস্য হবেন এই আশায় রইল সমর্থকদের। খালেদ হোসেন মাহবুব (শ্যামল) এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা আগে থেকেই মাঠমিশনে নেমে গেছি। মানুষের সাথে গণসংযোগ চলছে। আমি দল থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছি এবং আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ দল আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিবে।


অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী দলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মো. জোনায়েদ হাসানকে দল থেকে মনোনীত করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক জুনায়েদ হাসান ভোটের মাঠে প্রবলভাবে কাজ করছেন। অধ্যাপক জুনায়েদ হাসান জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন। তিনি বেশ কয়েকমাস যাবত বিভিন্ন জনসমাবেশ এবং নির্বাচনী সংসদীয় আসন এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।


মো. আতাউল্লাহ বলেন, জেলার প্রতিটি আসন থেকে এনসিপির চার থেকে পাঁচজন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দ্রুত মনোনয়ন চূড়ান্ত করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে ত্রিপক্ষীয় লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আসনের ফলাফল আগেভাগে অনুমান করা দুরুহ হলেও, নিঃসন্দেহে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ ভোটের মাঠ এবার উত্তেজনায় অস্থিরতা করছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমানকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার পর দলের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে । মুশফিকুর রহমান বলেন, গত ১৭ বছরে জনগণ সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। “দেশবাসী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জনগণই ঠিক করবে তারা কাকে দেখতে চায়। এজন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি,” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া (কসবা ও আখাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মুশফিকুর রহমান।


আসনটিতে জামায়াতে ইসলাম আতাউর রহমান সরকারকে মনোনীত করেছে। আতাউর রহমান বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে মূলত আমাকে নির্বাচনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রত্যেক ইউনিয়ন প্রত্যেকটা এলাকায় মানুষের কাছে যাওয়ার । আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমরা মানুষের মধ্যে একটা ভালো সারা লক্ষ্য করছি। দেশে পাঁচই আগস্টের পর মানুষের মধ্যে একটা প্রত্যাশা জেগেছে। মানুষ একটা পরিবর্তন চায়, একটা নতুন বাংলাদেশ চায়, আলহামদুলিল্লাহ আমরা প্রত্যেকে কাছে প্রত্যেকের দ্বারে দ্বারে আমরা এই কথাই বলার চেষ্টা করছি, আপনারা যা চাচ্ছেন আপনারা যে নেতৃত্ব চাচ্ছেন আমরা সেই নেতৃত্বই আপনাদের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি”।


এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার উপদেষ্টা মুফতি জসিম উদ্দিন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা কাজী মইনুদ্দীন নিপুন রয়েছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) নবীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল মান্নানকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। আবদুল মান্নান বলেন, ‘যদি নির্বাচনে বিজয়ী হই, তাহলে নবীনগরের দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ চক্র এবং বালুমহলের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। নবীনগর টু ঢাকা ও নবীনগর টু আশুগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কার করে জনগণের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করা হবে। একই সঙ্গে নবীনগরে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’


আসনটিতে আইনজীবী আবদুল বাতেনকে প্রার্থী করেছে জামায়াতে ইসলাম। এ ছাড়া এনসিপির জেলার সংগঠক এ বি এম কবির আলম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকী, সিপিবির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিন খান ও গণসংহতি আন্দোলনের নাহিদা সাহান মাঠে আছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। গুঞ্জন থাকায় স্থানীয় বিএনপিতে কিছু অসন্তোষ আছে। এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিক সিকদার ও জিয়াউদ্দিন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাইদুর রহমান উল্লেখযোগ্য।


এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দেওয়ান নকিবুল হুদা, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আবদুল মজিদ, সিপিবির জেলার সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. জামাল ও এনসিপির উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. মাইন উদ্দিন প্রার্থী হবেন বলে মতবিনিময় রয়েছে।


বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com