
অসুস্থতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। এটি মুমিনের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে পরীক্ষাস্বরূপ দেয়া হয়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুমিন বান্দা যখন অসুস্থ হয় এবং আল্লাহ তা থেকে তাকে সুস্থও করে দেন, এ অসুস্থতা তার পূর্ববর্তী গোনাহের কাফ্ফারা এবং ভবিষ্যতের জন্য উপদেশ হয়। (আবু দাউদ: ৩০৮৯)
রোগ ও যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণের জন্য নবীজি দোয়া শিখিয়েছেন:
এক. বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবীজি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে উল্লিখিত দোয়াটি পড়ে, সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না। (তিরমিজি: ৩৪৩২)
দোয়াটি হলো: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً (উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি, ওয়া ফাদদলানি আলা কাছিরিম মিম্মান খলাকা তাফদিলা।)
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির ওপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।
দুই. দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের জন্য এ দোয়াটি খুবই কার্যকরী:
اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالجُنُونِ، وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَامِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি; ওয়াল জুনুনি; ওয়াল ঝুজামি; ওয়া সাইয়্যিয়িল আসক্বাম।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি অবশ্যই তোমার কাছে ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সব ধরনের কঠিন রোগ-ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ: ১৫৫৪)
তিন. নবীজি বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর এ বাক্যটি তিনবার বলবে, আল্লাহ তাকে তিনটি রোগ থেকে মুক্ত রাখবেন। যথা- অন্ধত্ব, বিকলাঙ্গতা ও পক্ষাঘাত। (মুসনাদে আহমাদ: ২০৬০২)
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়া বিহামদিহি।)
অর্থ: আমি সুমহান আল্লাহতায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]