যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-গুলিবর্ষণ, হুমিকিতে চুক্তি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৮
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-গুলিবর্ষণ, হুমিকিতে চুক্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আবারও বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরাইলের এই আগ্রাসন এর নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।


মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।


ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের আল-শাআফ এলাকায় দুটি আলাদা হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তিরা নিজেদের বাড়িঘর দেখতে ফিরে আসার দখলদার বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়।


তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কিছু যোদ্ধার দিকে গুলি চালিয়েছে যারা ‘হলুদ সীমারেখা’ অতিক্রম করে শুজাইয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল এবং তাদের জন্য ‘হুমকি তৈরি করেছিল’।


মূলত এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে একটি সীমানা, যা গত ৪ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশিত মানচিত্রে নির্ধারিত হয়। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ওই রেখার পেছনে ইসরাইলি সেনারা অবস্থান করছে।


তবে গাজা সিটির স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেখাটির সঠিক অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তুফাহ এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী সামির বলেন, ‘পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা মানচিত্র দেখেছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না সীমারেখাটি আসলে কোথায়।’


যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে একাধিকবার গাজায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।


অবশ্য দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, গত রোববার ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।


ইসরাইলের দাবি, হামাস যোদ্ধারা রাফা এলাকায় গুলি চালিয়ে তাদের দুই সেনাকে হত্যা করেছিল। সেই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, রাফার ইসরাইলের নিয়ন্ত্রিত অংশে তাদের কোনো ইউনিট সক্রিয় নেই এবং সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য তারা ‘দায়ী নয়’।


সংগঠনের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইসরাইল ‘পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার অজুহাত তৈরি করছ ‘।


হামাস জানায়, তারা এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং বাকিদের মৃতদেহ হস্তান্তরের চেষ্টা করছে। তবে তারা বলেছে, গাজা উপত্যকার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বড় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।


এদিকে গত রোববার ইসরাইল গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো বন্ধের হুমকি দিলেও পরে আবার জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রাখছে।


জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক জানান, গাজায় সাহায্য পাঠানো পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে কী পরিমাণ সহায়তা প্রবেশ করতে পেরেছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com