
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আরও এক ইসরাইলি জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
বুধবার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। খবর আল জাজিরার।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে জানানো হয়য়, গাজা সিটির শুজাইয়া মহল্লার পূর্বে ধ্বংসস্তূপের নিচে ওই জিম্মির লাশ পাওয়া যায়। এখনও ছয় জিম্মির লাশ গাজায় রয়েছে। লাশগুলো ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলছেই। ইয়েলো লাইন অতিক্রম করার অযুহাতে বুধবার নেতানিয়াহু বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে আরও দুই ফিলিস্তিনির। গাজায় টেকসই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকলেও হাসপাতালে হাজারো রোগীর ভিড়। আহতদের পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যরাও মানসিক আঘাতে বিপর্যস্ত। হাজার হাজার মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা এখনও নিত্যদিনের সঙ্গী গাজাবাসীর। বুধবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে আবারও ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রম করে সশস্ত্র হামলা চালানোর সময় কয়েকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর চলতি মাসে ইসরাইলি হামলায় গাজায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলে থাকা আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইলির মরদেহ ফেরত দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এদিকে গাজায় টেকসই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। বুধবার ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেলসিঙ্কিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মানবিক সাহায্য অপর্যাপ্ত। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো ইসরাইলি হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]