
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনকে ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মতো ‘সমানভাবে’ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশালেও লিখেছেন, ‘অন্যান্য দেশের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের কারণে আমি যুদ্ধ দফতরকে (ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার) নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হবে।’ ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, ‘রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে আছে, আর চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা সমান হয়ে যাবে।’
গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়া সফলভাবে পোসাইডন নামে একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রটি বিশাল আকারের বিকিরণযুক্ত সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে।
এর আগে রাশিয়া গত ২১ অক্টোবর ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করে। এর পরদিন অর্থাৎ ২২ অক্টোবর পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালায়। রাশিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা প্রেক্ষিতেই ট্রাম্পের নির্দেশ এলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সাধারণত এ ধরনের পরীক্ষা নতুন অস্ত্রের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং পুরনো অস্ত্রগুলো কার্যকর আছে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি, এই পরীক্ষা রাশিয়া ও চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের কৌশলগত একটি উদ্যোগ।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]