
রাত পেহালেই ঈদুল আজহা। আর ঈদের নামাজের পরই শুরু হবে পশু কোরবানী। তবে আয়েশ করে কোরবানির মাংস থেকে বেগ পোহাতে হবে সালাদি পণ্যে। রাজধানীর বাজারে বেড়েছে শসা, লেবু, কাঁচা মরিচের দাম। শসার দাম বেড়ে এক লাফে হয়েছে দ্বিগুণ। কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বিক্রেতারা শসা বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি। দুদিন আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে শসা। এছাড়া কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তবে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কমে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে আজ।
হঠাৎ শসার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ হজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল বলেন, কাল কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদের সময় শসার চাহিদা বেশি থাকে, তাই দামও বেড়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে। আড়তে গিয়ে তো আমরা শসা খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ৫ কেজি কিনতে পেরেছি।
তিনি বলেন, দুদিন আগেও আমরা শসার কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ আড়তেই দেশি শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। হাইব্রিড শসার দাম একটু কম আছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি কিনে তো আর ৯০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না। তাই ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
রামপুরার ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, কোরবানির ঈদের সময় সব বাড়িতেই মাংস রান্না হয়। মাংসের সঙ্গে সালাদ সবার প্রিয়। তাই কোরবানির ঈদের সময় কাঁচা মরিচ, শসা, লেবু ও টমেটোর চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, বাজারে লেবু ও টমেটোর সরবরাহ ভালো। তাই এ দুটি পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে কাঁচা মরিচ ও শসার সরবরাহ কম। তাই দামও বেড়েছে। গতকাল শসার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করেছি, আজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা কাঁচা মরিচ আজ ১২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, আমাদেরই কিনতে হয়েছে অনেক বেশি দামে।
খিলগাঁওয়ে শসা কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার শসা কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে, আজ এক লাফে ৯০ টাকা হয়ে গেছে। হুট করে এভাবে দাম বাড়া ঠিক না। যারা বাজার তদারকির দায়িত্বে আছেন তাদের বিষয়টা দেখা উচিত।
দুদিন আগে ১৩০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করা হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আজ ১২০ টাকা ডজন বিক্রি করছেন। এই ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, আলু, রসুন, পেঁয়াজ, আদা আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুদিনে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। ডিমের চাহিদা কম থকায় এই দাম কমেছে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম আরও একটু কমতে পারে। কারণ আগামীকাল কোরবানি হওয়ার পর সবার ঘরে ঘরেই মাংস থাকবে। দুই-তিনদিন মানুষ মাংস খাবে বেশি। এ সময় অন্য খাবারের চাহিদা কম থাকবে। তবে ঈদের দুই-তিনদিন পর ডিম এবং কাঁচা সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। কাঁকরোল, বরবটি, কচুর লতি, করলা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
সবজির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। কিছু ব্যবসায়ী ১৮০ টাকা কেজি চাইলেও দরদাম করলে ১৭০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। একইভাবে কমে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দরদাম করলে কিছুটা কম দাম রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]