শিরোনাম
'শেখ হাসিনার সরকার আরও ১৫ বছর দরকার'
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৫১
'শেখ হাসিনার সরকার আরও ১৫ বছর দরকার'
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার জন্য শেখ হাসিনাকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য আরো অন্তত পনের বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দরকার।


নিউইয়র্কে, রাজনীতি বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়ের লেখা, অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশিত 'শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন' বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।


গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসস্থ ইত্যাদি পার্টি হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন বাংলাদেশের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন বাবু, জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।


গ্রন্থটির লেখক সুভাষ সিংহ রায় এবং মুক্তধারা, নিউইয়র্কের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহাও এতে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফাহিম রেজা নূর।


একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘সুভাষ সিংহ রায় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনেকগুলো দলিল একত্র করেছেন। সুভাষ যে কথাটি বোঝাতে চেয়েছেন বইটির মধ্য দিয়ে তা এই নামকরণে ঠিকভাবে আসেনি। বইটির নামকরণ হওয়া উচিত ছিল- বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকে ফিরে পাওয়া।’


প্রসঙ্গটি ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা না এলে বাংলাদেশ ভেন্টিলেশনে থাকে। জিডিপি কম থাকে। তিনিই বাংলাদেশের ডিফল্ট নেতা। তিনিই বাংলাদেশের জননী, আবার তিনিই বাংলার কন্যা। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে একত্রে সামনে রেখেই রাজনীতি করবে। আরো পনের বছর বাংলাদেশের তাঁকে প্রয়োজন।'


শ্যামল দত্ত তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতার সূত্র উল্লেখ করে বলেন, বড় ল্যান্ডস্কেপে যদি দেখা হয় তাতে আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে যদি এক পক্ষকেই বেছে নিতে হয় তাহলে শেখ হাসিনাকেই বেছে নিতে হবে আমাদের। জাতিসংঘের অধিবেশনে আমরা দেখলাম শেখ হাসিনা যখন প্রবেশ করছেন তখন সভাকক্ষে যেন একটা চঞ্চলতার সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও তো আমরা দেখলাম, কই তাঁদের কাউকে নিয়ে তো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি বিশ্বে এতটাই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন।


বইটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুটি প্রত্যাবর্তনের কথা এই বইয়ে বলা হয়েছে। দুটি প্রত্যাবর্তনই মে মাসে। একটি ৭ই মে, অন্যটি ১৭ই মে। আমি এই দুটো প্রত্যাবর্তনেরই সাক্ষী। প্রথম প্রত্যাবর্তনের সময় এয়ারপোর্টের রানওয়েতে মানুষ চলে আসায় বিমান নামতে পারছিল না। তিনি যেদিন ফিরলেন সেদিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ কাঁদছে! বাংলাদেশের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অনেক মানুষের চরিত্র এই বইয়ে উন্মোচিত হয়েছে। এ ধরনের রাজনৈতিক বিশ্লেষণাত্মক বই খুব দরকার।’


১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের গণহত্যার স্মৃতি উল্লেখ করে শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সেই ঘটনাটি বেশি আলোচিত হয় না। সেদিন তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেখানে কাসেম নামে শ্রমিক লীগের এক কর্মী নেত্রীকে আগলে রেখে নিজে মারা যায়, একই জায়গায় পাথরঘাটার স্বপন নামে একটি ছেলে বুকে গুলি নিয়ে নেত্রীকে রক্ষা করেছিল।’


তিনি আরো বলেন, ‘পশ্চিমা ধাঁচের রাজনীতির বিবেচনা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে দেখলে চলবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক ক্রুয়েল। এর মধ্যেই শেখ হাসিনাকে রাজনীতি করতে হয়। তাঁকেই তাই সমর্থন করতে হয় আমাদের। বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার জন্য শেখ হাসিনাকেই কৃতিত্ব দিতে হয়। বাংলাদেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জন্য শেখ হাসিনাকেই দরকার।’


বইটি নিয়ে আলোচনার সূত্রে একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা বলেন, ‘বইটা পুরো পড়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বুঝতে পেরেছি বইটার মধ্যে এমন অনেক দলিল আছে যা সাংবাদিকদের বার বার কাজে লাগবে। আমরা একাত্তর দেখিনি, পঁচাত্তর দেখিনি। কিন্তু ২০০১ বা ২০০২, ২০০৬ বা ২০০৭-এর রাজনৈতিক ঘটনাবলি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কাছে থেকে দেখেছি। শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে কর্মের যোগ।’



তিনি আরো বলেন, ‘কারো মায়ার টানে না, কারো সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার কারণে না, একেবারে দেশের জন্য কাকে দরকার সেই দিক থেকেই মনে হয়েছে বাংলাদেশের জন্যই শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দরকার।’ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রিপোর্ট কভার করতে এসে ফারজানা রূপা তাঁর উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন। তিনি বিশ্ব নেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন।’


শেখ হাসিনার জন্মদিনের কথা স্মরণ করে সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বইটিতে তিনি এমন অনেক প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করেছেন যাতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনাবলির পর তৎকালীন সরকারের বঙ্গবন্ধু বিরোধিতায় নিয়োজিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম আছে যাঁদের অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক।


বিবার্তা/খোকন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com