মালয়েশিয়ায় স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত গৃহবধূর সাজেদা-ই-বুলবুলের (২৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। শুকবার বিকালে জঙ্গল থেকে তার মরদেহ ঢোকানো একটি লাগেজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত গৃহবধূর স্বামী শাহজাদা সাজুকে খুঁজছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ পটুয়াখালীর সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ মেয়ে। তার (২৯) পাসপোর্ট নং: বিএ ০৭৩২৫৭০।
পুলিশ বলছে, নিহত গৃহবধূর মরদেহ কয়েক টুকরো করে লাগেজের ভেতরে ভরে গত ৫ জুলাই স্বামী শাহজাদা সাজু জঙ্গলে ফেলে দেয়। সাজেদার স্বামী শাহজাদা সাজুই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে তিনি পলাতক আছেন।
এদিকে, সাজেদা খুনের ঘটনায় শোকের মাতম চলছে তার পরিবারে। নিহতের বোন উপমা ফারহানা টেলিফোনে জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএম পাস করেন তার বোন সাজেদা। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় সাজেদার। তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশোনা করা কথা বলে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যায়।
ফারহানা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত তার বোনকে নির্যাতন করা হতো। এমনকি দুই তিন দিন পরপর খাবার দেয়া হতো। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা-মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। এক পর্যায়ে সাজেদার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিতো তার মা, মামাসহ অন্যান্যরা'।
উপমা ফারহানা জানান, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে যান সাজেদা। সেখানে ২-৩ দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনেন। এর পরই নৃশংস খুনের শিকার হন সাজেদা। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর কয়েক টুকরো করে সাজেদার মরদেহ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়ান পুলিশ লাগেজ ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করে।
বিবার্তা/আরিফুজ্জামান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]