নিউইয়র্কের লোয়ার ম্যানহাটন এলাকায় গত মঙ্গলবার এক সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। একজন ট্রাকচালক মহাসড়কের পাশে সাইকেল লেনে দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়ে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েন ইন নর্থ আমেরিকা'র (ফোবানা) নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় সময় বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান এবং এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি শাহ হালিম বলেন, ফোবানা দৃঢ়ভাবে নিরীহ মানুষের উপর এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছে এবং হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি আমাদের স্বাধীনতা এবং জীবনযাত্রার উপর আক্রমণ। আমরা আক্রান্ত সবার জন্য প্রার্থনা করি এবং মানবতার বিরুদ্ধে এ ধরনের জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়াই।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার পর এটি হচ্ছে নিউইয়র্কে বড় ধরনের প্রথম কোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। হামলাকারী ফ্লোরিডায় বসবাসকারী উজবেক নাগরিক।

সংবাদমাধ্যমের খবরে হামলাকারীর নাম সাইফুলো সাইপভ বলে উল্লেখ করা হয়। অভিবাসী হিসেবে ২০১০ সালে সে যুক্তরাষ্ট্রে আসে।পুলিশ সূত্র জানায়, হামলার কাজে ব্যবহৃত ওই ট্রাকের ভিতরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে ইসলামিক স্টেটের নাম উল্লেখ রয়েছে। ওদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্ট্যুইভেসান্ট হাইস্কুলের কাছে একটি সাদা রঙের পিকআপ ট্রাক দ্রুত গতিতে মহাসড়কের পাশের সাইকেল পথে ঢুকে পড়ে। এসময় চালক দ্রুতগতির ট্রাকটি অনেক মানুষের ওপর তুলে দেয়। এ সময় অনেকগুলো গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছিলো।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা এ ঘটনায় শোকাহত। এটি একটি কাপুরুষোচিত হামলা। আর হামলাকারী একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত।

বিবার্তা/শিব্বির/শাহনেওয়াজ