শিরোনাম
রোহিঙ্গা ইস্যু
কানাডার সিনেটে শুনানিতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসংশিত
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:০১
কানাডার সিনেটে শুনানিতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসংশিত
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে এক বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে কানাডার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে।


অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলের সিনেট মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। শুনানিকালে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার উচ্চ প্রসংশা করা হয়। সেই সাথে অবিলম্বে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার, সেনাবাহিনী ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চি'র প্রতি কানাডার চাপ প্রয়োগের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচিত হয়।


শুনানিতে সিনেট মানবাধিকার কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে বক্তব্য দেন, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি মিযানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রধানমন্তী কর্তৃক উত্থাপিত পাঁচ দফা প্রস্তাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাই কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব অনুসারে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশের আলোকে মিয়ানমারকে তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সংঘাত ও হত্যাকান্ড বন্ধ করে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে স্থায়ীভাবে তাদের দেশ তথা মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।


এ সময় হাই কমিশনের মিনিস্টার নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।


প্রশ্নোত্তর পর্বে মিনিস্টার নাঈম আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের সাথে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা বাঞ্ছনীয়। তাদরকে এ বিষয়ে বালাদেশের সাথে 'এঙ্গেজড' থাকতে হবে৷


পরে হাই কমিশনারের বক্তব্যের লিখিত কপি সিনেট হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পুরো শুনানি কানাডার সরকারি পার্লামেন্টভিউ টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।



শুনানীতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সিনেটর জিম মানসন। বিভিন্ন প্রশ্ন করেন কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান, সিনেটর মারিলু ম্যাকফ্রেডান, সিনেটর ইয়োনাহ মার্টিন, সিনেটর থান হাই গো, সিনেটর রেইনেল এ্যান্ড্রিচুক এবং সিনেটর রাতনা ওমিডভার।


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপগুলোর মধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, 'বার্মিজ মুসলিমস' এবং রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার নেতৃবৃন্দ শুনানিতে সাক্ষ্য দেন।


রোহিঙ্গাদের উপর চালিত গণহত্যা ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত এসব শুনানির পর শিগগিরই সিনেট মানবাধিকার কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত কানাডা সরকারকে জানাবে।


বিবার্তা/দেওয়ান/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com