শিরোনাম
নিউজিল্যান্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও স্বাধীনতা দিবস পালন
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১২:৫১
নিউজিল্যান্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও স্বাধীনতা দিবস পালন
নিউজিল্যান্ড প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন (ও জাতীয় শিশু দিবস) এবং বাংলাদেশের ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সার্বিক সহায়তায় এর আয়োজন করা হয়।  

 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও দেশের অগ্রযাত্রায় দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

 

অকল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল সফিকুর রহমান ভূঁইয়া অনুর সভাপতিত্বে এবং নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব আফজালুর রহমান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউজিল্যান্ড সরকারের সাবেক আইন, ভূমি ও কারেকশান মন্ত্রী ম্যেট রবসন।

 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেন নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর জাহাঙ্গীর শেলী, বাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালাম, ঢাকা নগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ইফতেখার প্রমুখ।

 

বক্তারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক তুলে ধরে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, আদর্শ, আপসহীন সংগ্রাম ও প্রতিবাদী মানসিকতার কথা এবং তার দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।

 

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে শিশুদের ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং একই সাথে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে বিশ্বশান্তির পাথেয় হিসেবে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ দায়িত্ব প্রতিটি প্রবাসী বাঙালির।

 

বঙ্গবন্ধুকে কিংবদন্তী হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের প্রতি তার সহযোগিতার হাত অক্ষুন্ন থাকবে জানিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভ্রমণের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন তিনি।

 

৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেয়ার আহ্বান জানান।

 

তারা বলেন, বাঙালি ও বিশ্বের নিপীড়িত-শোষিত মানুষের প্রতি ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির মূল দর্শন। বাংলার মানুষকে ভালোবেসে তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাঙালিদেরকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দিক্ষিত করেন এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন।

 

এরপর আফজালুর রহমান রনি বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিক বিবরণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।

 

সবশেষে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের এবং জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং সভায় উপস্থিত সবা্ইকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে নিউজিল্যান্ড অনারারি কনসাল সফিকুর রহমান ভূঁইয়া অনু অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতেই নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছরে এটিই ছিল নিউজিল্যান্ডে সরকারিভাবে বা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (ও জাতীয় শিশু দিবস) পালন।

 

বিবার্তা/অনু/নিশি 

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com