রাজধানীর মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিশা পরিবহনসহ তিনটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টায় মাতুয়াইল এলাকায় ঢাকা-ভৈরব রুটে চলাচল করা তিশা পরিবহনে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় পাশের সান্টু ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, তবে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ নিয়ে এ এলাকায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
তিশা পরিবহনের চালক মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, 'হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে তিনজন আসলো। দুজন গাড়ির ভেতরে ঢুকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দিলো। এরপর পেট্রোল ঢেলে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দিলো। আশপাশে তো পুলিশও ছিল। আমি জানের ভয়ে দূরে সরে গেছি।'
এ ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এই এলাকায় অবস্থান নিলেও পুলিশ এসে কাদানো গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর আর মহাসড়কেই উঠতে পারেনি। মাতুয়াইল মেডিকেলের গলিতে অবস্থান নেয় তারা। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে লাঠিসোটা হাতে অবস্থান নেয়।
এর আগে স্বদেশ পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেটিও পুড়ে যায়। এছাড়া শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলেও সে আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা।
এর আগে শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে পৌনে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। জবাবে ইটপাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা। এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিবার্তা/এমই/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]