
চলমান তীব্র তাপদাহ এবং বৈশাখের মাঝামাঝি হঠাৎ পাবনার ঈশ্বরদীর আকাশে দেখা দিয়েছে কুয়াশা। তীব্র গরমে হঠাৎ এ ধরনের কুয়াশার দেখা মেলায় কিছুটা আতঙ্কে আছে সাধারণ মানুষ। তবে কুয়াশা দেখে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা।
৩ মে, শুক্রবার পাবনার ও ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন উপজেলা জুরে ভোর বেলায় এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই।
পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, ভোরে নামাজ পড়ে রাস্তায় একটু হাঁটছিলাম। কিন্তু দেখি কুয়াশা। কুয়াশা দেখেতো মনে হচ্ছে ঠান্ডার সময় যেভাবে কুয়াশা পড়ে তেমনি। দিনের বেলা গরম, আবার ভোর বেলার কুয়াশা। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তায় পড়ে যাই।
আকস্মিকভাবে কুয়াশা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের সরদারপাড়া এলাকার মানিক তালুকদার।
তিনি বলেন, এই জীবনে আর কত কী দেখব। আগে শীতের সময় কুয়াশা দেখতে পেতাম, এখন তো গরমের সময়ও কুয়াশা দেখতে পাচ্ছি। পরিবেশের যে কী হচ্ছে তা নিজেও বুঝতে পারছি না।
ঈশ্বরদী শহরের বাবাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মঈনউদ্দীন বলেন, ভোরে নামাজ পড়ে রাস্তায় একটু হাঁটছিলাম। কিন্তু আজ দেখি শিরশির কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশাটা দেখে তো মনে হচ্ছে ঠান্ডার সময় যেভাবে কুয়াশা পড়ে তেমনি। দিনের বেলা গরম, আবার রাতে বেলার কুয়াশা, বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেছি।
আকস্মিকভাবে কুয়াশা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরের পাতিলাখালি এলাকার আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, এই জীবনে আর কত কি দেখব। আগে শীতের সময় কুয়াশা দেখতে পেতাম, এখন তো গরমের সময়ও কুয়াশা দেখতে পাচ্ছি। পরিবেশের যে কি হচ্ছে তা নিজেও বুঝতে পারছি না।
তবে গরমকালে কুয়াশার দেখা মেলায় জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন।
তিনি বলেন, ভোরের দিকে সূর্যের আলো পরার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে থাকা ওই অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প কুয়াশার মতো করে ভাসতে থাকে, যা দেখে নিচু মেঘের মতো মনে হয়েছে।
গরমকালে এটি কিভাবে হতে পারে জানতে চাইলে তনি বলেন, রাতের আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় ভূপৃষ্ঠ খুব ঠান্ডা হয়। তাপ বিকিরণ করে ভোর থেকে সকাল ৮টার মধ্যে তাপমাত্রা দ্রুত কমে ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে আসে। এই তাপমাত্রা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া তৈরি করে। এছাড়া যেখানে তাপমাত্রার ওঠানামা বেশি, সেখানেই কুয়াশা তৈরির সুযোগ বেশি থাকে।
তিনি আরও জানান, এছাড়া বাতাসে ধুলিকনার পরিমান বেশি এবং দক্ষিণা বাতাস অনেক কম থাকাটাও এটির একটা বড় কারণ। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। এতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই বরং এতে আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসলের ফলন ভালো হবে। অন্যদিকে রোদের প্রখরতা আছে। তাই পরিবেশে এই উষ্ণতা দেখা যাচ্ছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]