দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর মাত্র ২ বা ৩টি রোজার পরেই পালিত হবে মুসলমান ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ সময়ে গরম পড়ায় কয়েকদিন ধরে দিনের বেলা ক্রেতা কম সংকটে পড়েছেন কিছু কিছু পোশাক ব্যবসায়ী।
প্রচণ্ড গরম পড়ায় এই ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। দিনের বেলা মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ থাকছে না। এ কারণে দিনের বেলা ক্রেতা কম। তবে ইফতারের পর ভালো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে।
গত তিনদিন সকালে রাজধানীর তালতলা সিটি সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার আনাগোনা কম। ক্রেতা না থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীদের অলস সময় পার করতেও দেখা গেছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে অলস সময় পার করতে দেখা যায় একটি দোকানের তিনজন বিক্রয়কর্মীকে। তাদের একজন নিজেকে আমিনুর পরিচয় দিয়ে বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে বিক্রি মোটামুটি ভালো হয়েছে। এখনও ঈদের বিক্রি চলছে। কিন্তু গরম পড়ায় কয়েকদিন ধরে দিনের বেলা ক্রেতা কম।
তিনি বলেন, রোজা থেকে অনেকেই এই গরমে মার্কেটে আসতে চাচ্ছেন না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা খুব কম আসছে। তবে ইফতারের পর বেশ ভালো ক্রেতা আসছে। সব দোকানই সন্ধ্যার পর ক্রেতা-দর্শনার্থীতে ভরে যাচ্ছে। যদি এমন গরম না পড়তো, তাহলে দিনের বেলাতেও ভালো ক্রেতা পাওয়া যেতো।
মার্কেটটির এক ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, ‘এবার বিক্রি মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে আমরা যে ধারণা করেছিলাম, বিক্রি তার তুলনায় কম। এর মূল কারণ গরম। গরমের কারণে দিনের কয়েক ঘণ্টা ক্রেতা খুব কম আসছে।’
তিনি বলেন, এবার রোজার শুরু থেকেই ঈদের বিক্রি হয়েছে। আমাদের ধারণা ছিল শেষ ১০ দিন খুব ভালো বিক্রি হবে। কিন্তু এ সময়েই হঠাৎ প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু মিলে ঈদের শেষ সময়ে যেমন বিক্রি হওয়ায় কথা তেমনটি হচ্ছে না।
মার্কেটটির আর এক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, ইফতারের পর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে দিনের বেলা ক্রেতা কম আসছেন। এর কারণ একদিকে রোজা, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম। তাছাড়া দিনের বেলা অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। গরম এতোটাই পড়ছে দোকানে থাকা আমাদের জন্যই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রোজা থেকে ক্রেতা কেমন করে আসবে।
মার্কেটটিতে থ্রি-পিস কিনতে আসা রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা আগেই করেছি। যেহেতু এখন প্রচুর গরম পড়ছে, তাই পরার জন্য সুতির পাতলা থ্রি-পিস কিনতে এসেছি। অল্প ঘোরাঘুরি করে দুটি থ্রি-পিস কিনে বাসায় চলে যাবো।’
জুয়েলারি সামগ্রী কেনা নীলিমা বলেন, ‘ঈদের থ্রি-পিস ও জুতা কিনেছি। এখন থ্রি-পিসের সঙ্গে ম্যাচিং করে গলার ও কানের দুল কিনবো।’
তিনি বলেন, এবার ঈদে অনেক আনন্দ ও ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছা ছিল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়েছি। কিন্তু যেভাবে গরম পড়ছে, ঈদের দিন এমন গরম থাকলে সব পরিকল্পনা মাটি হয়ে যাবে। গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]