ভালুকায়
রিক্সাচালক বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছেলে হলো চাঁদাবাজ!
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ২৩:০১
রিক্সাচালক বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছেলে হলো চাঁদাবাজ!
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকায় বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করতে গেলে, কিশোর ছেলের হাতে খেলনা পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজ বানিয়ে দুই কিশোরকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।


এ অভিযোগ করে কিশোরের বাবা সাইফুল ইসলাম। ওই ঘটনায় কিশোরদের পক্ষ এলাকায় চরম ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


শনিবার বিকালে (১৪ জুন) স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।


স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন জামিরদিয়া বাদশা টেক্সটাইল মিলের ২নাম্বার গেইটে রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় আল আমিনের স্ত্রীকে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে না দেওয়ায় আল আমিন, তার ভাই শামীম ও মেহেদী হাসান রিকশাচালক সাইফুলকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। পরে সাইফুলের ছেলে সিফাত তাঁর বাবাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় শুক্রবার (১৩ জুন) তার দুই সহপাঠীকে নিয়ে মেহদীদের ভ্যারাইটিজ দোকানে যায়। সেখানে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিফাত দোকানের শোকেজের গ্লাসে লাথি মারে। এ সময় মেহদীরা তিন ভাই ও তাদের কর্মচারীদের নিয়ে তাদেরকে ঝাপটে ধরে ওই দোকান থেকে খেলা পিস্তল কিশোরদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশে পাশের লোকজন এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই কিশোরদেরকে ডাকাত বানিয়ে সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে ফোন করে। সেনা ক্যাম্প কাছাকাছি থাকায় দ্রুত সময়ের উপস্থিত হয়। সেনাবাহিনী সদস্যরা দুই কিশোরকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে সিফাত ও সাদিকুলের বিরুদ্ধে পিস্তল দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।


তবে সিফাতের বাবা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি রিকশাচালক, আল আমিনের স্ত্রীকে রিকশায় করে তার গন্তব্য পর্যন্ত না নেওয়ার কারণে আমাকে মারধর করে। ছেলে প্রতিবাদ করতেই তাকে খেলনা পিস্তল দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে”।


স্থানীয় হারুন জানান, সিফাত ও সাদিকুল ভদ্র ও শান্ত ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা কখনোই এমন ঘটনায় জড়াতে পারে না। তাদের দাবি, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। তারা আরও বলেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে কিশোরদের হয়রানি বন্ধ করা হোক।


মেহদী হাসান জানান,তারা আমার দোকানে এসে দোকানের শোকেজের উপর পিস্তল রেখে গ্লাসের মাঝে লাথি মারে। আমরা চিৎকার শুরু করলে লোকজন এসে তাদেরকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।


এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলায় হয়েছে। দুই কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠায়।


বিবার্তা/সাজ্জাদুল/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com