
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে সারজন মন্ডল নামে শ্যালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন মন্ডল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আছালত মণ্ডলের ছেলে।
রোববার (৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ দণ্ড প্রদান করেন। সেই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ইসাহাক আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ৭ এপ্রিল নিহত ইসাহাকের বাবা আনজের মন্ডল বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তদন্ত প্রতিবেদন ও এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন ইসাহাক আলী মন্ডল (৪০) বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর ফেলে চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ওই সময় আশেপাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তায় ইসাহাক আলী মন্ডলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এঘটনায় ইসাহাকের বাবা আনজের মন্ডল অজ্ঞাতদের আসামী করে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ইসাহাকের চাচা শ্বশুর মোকসেদ আলীর ছেলে সারজন আলীকে আসামি করে পুলিশ। এজাহারে দাবি করা হয়, চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার লোকজনকে দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় ইসাহাকের চাচাতো শ্যালক সারজন আলী। ইসাহাক আলীর সঙ্গে তার শ্যালক সারজনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল।
মামলা দায়েরের পরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা চরমপন্থী নেতা হানিফ গত ২১ ফেব্রুয়ারি শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে সংঘটিত ট্রিপল মাডারে নিহত হন।
বিবার্তা/রায়হান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]