পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। সেইসঙ্গে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও।


চার মাস ১১ দিন পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর নেতৃত্বে মসজিদের দানবাক্সগুলো একে একে খোলা হয়। প্লাস্টিকের বস্তায় টাকা ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নেয়া হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ।


গণনায় পাগলা মসজিদ মাদ্রাসা ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মোট ২৫০ জন ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৩২০ জন অংশ নিয়েছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছাড়াও মসজিদ-মাদ্রাসার ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও গণনায় অংশ নেন।


এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদটির দানসিন্দুক থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।


জানা গেছে, প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর এই সিন্দুক খোলা হয়। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে এই মসজিদে দান করছেন। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার নাকি তাদের মনের আশা পূরণ হয়। ফলে দিন দিন বাড়ছে দানের পরিমাণ। এ টাকা দিয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এতে অর্ধলাখ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার মহিলারও আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। সেটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে ডিজাইন ও নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। কাজ শুরু হলে টাকা বাড়তেও পারে।


জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানম জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়ে থাকে।


উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এ মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে ৩.৮৮ একর ভূমির ওপর সম্প্রসারিত পাগলা মসজিদ এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বভাবতই ঐতিহাসিক এই মসজিদকে নিয়ে জেলার ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই গর্ববোধ করেন।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com