
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় জীবন রক্ষাকারী সেই রেইনট্রি গাছটি কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গাছটি কাটার কারণে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো উপজেলা জুড়ে। ৩২ টি মানব জীবন বাঁচানোর প্রতিদান হিসেবেই কি গাছটিকে কেটে হত্যা করা হল? দেওয়া হলো মৃত্যুদণ্ড! এমন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে স্থানীয়দের মনে! যারা গাছটি কেটে ফেলল, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় আসাদুল ইসলাম তন্ময় ও রফিকুল ইসলামসহ অনেকে জানান, গত ৩ এপ্রিল সকাল দশটার দিকে পর্যটক বাহী একটি ঈগল পরিবহন ব্রেকফেইল করে গাছে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ৩০০ ফুট গভীর পাহাড়ি খাদে পড়া থেকে রক্ষা পায়। সে সময় গাড়িতে থাকা যাত্রী ও চালক হেলপারসহ গাছটির কারণে প্রাণে বেঁচে যায়। যেখানে সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরোপন করে সজ্জিত করা প্রয়োজন, সেখানে ৩২ জনের জীবন বাঁচানোর ২ দিন পরই গত শনিবার সকালে সেই রেইনট্রি গাছটি কেটে ফেলা হয়।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছটির নিচ থেকে ৬-৭ ফিট পর্যন্ত রেখে উপরের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি অংশও কেটে ফেলা হবে যেকোন মূহুর্তে।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রতিদান দিতেই কি গাছটি কেটে ফেলা হল? কেউ কেউ লিখেছেন, কি আপরাধ ছিল গাছটির? এছাড়া সড়ক ও জনপদ,বন বিভাগের পূর্বানুমতি ছাড়া কিভাবে গাছটি কাটা হল তা নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই।
দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির আহত যাত্রী ডাক্তার ফাহাদ বিন তৈয়ব বলেছিলেন, ঈদ পরবর্তী পারিবারিক ভ্রমণে তারা লোহাগাড়ার আধুনগর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি মিনিবাসে করে লামায় আসছিলেন। যাত্রাপথে লামার মিরিঞ্জা এলাকায় মাদানীনগরে বাসটির ব্রেক কাজ করছিল না। নিরুপায় দেখে চালক বাসটি গাছের সাথে লাগিয়ে দেয়। সেসময় বাসে থাকা ৩৪ জনের মধ্যে নারী-শিশুসহ মোট ৩২ জন আহত হলেও গাছটির কারণে পাহাড়ের খাদে পড়া থেকে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় সকলেই।
এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাখাওয়াত হোসেন জানায়, গাছটি কাটার বিষয়ে তার কাছে কোন প্রকার তথ্য নেই। যে বা যারা এই গাছটি কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিবার্তা/আরমান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]