সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ এই দুইটি উপজেলার একমাত্র প্রাণকেন্দ্র হাটিকুমরুল চত্বর এই এলাকাটি সলঙ্গা থানার একমাত্র জনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। মূলত উল্লাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও রায়গঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সলঙ্গা বা সলঙ্গা বাজার নামে পরিচিত।

উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল মোড়টি দিয়ে প্রতিনিয়তই ২২টি জেলার পরিবহণ চলাচল করা সহ এলাকাটি সর্বোচ্চ প্রশাসনিক এলাকা হওয়ায় এই সলঙ্গা থানার কার্যক্রম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ২২ জেলার চলাচলরত পরিবহণ চলক ও জনসাধারণ।

কিন্তুু এই সলঙ্গা থানা এলাকাটিতে নিদিষ্ট কোন ট্র্যাফিক ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই যানজট আর ভোগান্তি শিকার হচ্ছে সলঙ্গা বাজারের থানা এলাকার সাধারণ মানুষ ।

নাটোর বনপাড়া মহাসড়কের রামারচর মোড় থেকে শরু করে সলঙ্গা সুইস গেট ও সলঙ্গা থানার সামনে প্রতিদিন সৃষ্টি হয় যানজট।

এই যানজট আর ভোগান্তিতে পরে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে পার করতে হয় অনেক মূল্যবান সময় আর ব্যয় করতে হয় ঘণ্টার পর ঘটনা।

স্কুলের বাচাদের নিয়ে যাওয়া-আসার সময় প্রতিনিয়তই এই যানজটে অভিভাবকসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থীরাও।

যানজট আর ভোগান্তিতে আরও নিয়মিত শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী রোগী ও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় সিজার রোগীকেও দেখা যায় ভোগান্তিতে পরে থাকতে যানজটে পার করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিন শেষ এই যানজটের কারণে অনেকেই হারাচ্ছেন সম্বল সর্বোচ্চ হারিয়ে অনেকেই আর্তনাদে পার করছে দিন। তাই তারা বলছেন প্রশাসনিক ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থা চালু হলে অনেকেরই ভোগান্তি কমবে, সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরবে স্বস্তি।

এলাকাবাসী বলছেন ট্রাফিক পুলিশ ও প্রশাসনিক অবস্থা ভালো না হলে প্রতিদিন এই যানজট আর ভোগান্তি শিকার হবে, স্কুল শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।

উত্তরের এই জন বহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি একদম সলঙ্গা থানা সামনে দিয়ে যাওয়া রাস্তা যেখানে সলঙ্গা বাজার ও নিদিষ্ট পার্কিং ও ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায়, গ্রাম পুলিশ ও সলঙ্গা থানা পুলিশের কার্যক্রম না থাকাই এক মাত্র ভোগান্তির কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এই সলঙ্গা বাজার এলাকাটিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক অবস্থা ফিরে পেলে স্বস্তি ফিরে পাবে সাধারণ মানুষ ।

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মনোজিৎ কুমার মন্দী বলেন, আমরা ইতি মধ্যে যানজট এর জন্য গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বলেছি অতি দূরত্ব যানজট নিরসন হবে। এ বিষয়ে সাধারণ যানজট নিরসন এর জন্য স্থায়ী কোন সমাধান পাবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত আরও বলে আমরা ট্রাফিক বিভাগে ও এসপি স্যারকে আমরা অতি দূরত্ব যানজট নিরসন এর জন্য লিখিত আবেদন পাঠাবো, আশা করি ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ সঠিক সমাধান দিবেন।

বিবার্তা/কাইয়ুম/এমবি