
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নুরানি কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঐ প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদাশীরহাট নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মারধরের শিকার ইয়াসিন আলী (১৫) উপজেলার সংকৈর গ্রামের বটতলী বাজার এলাকার সামিউল ইসলামের ছেলে। তার বাঁ চোখ, নাক ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ইয়াসিনের বাবা সামিউল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেলে তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে একটি সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তিনি সাইকেলটি মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইয়াসিন মাদ্রাসায় যায়। তখন শিক্ষক শাহ আলম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ছেলেটার চোখ, মুখ, নাক, কান ফেটে রক্ত পড়েছে; হাত-পায়েও আঘাত করেছে। খবর পেয়ে ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে চোরকেও কেউ পেটায় না। ছেলে সুস্থ হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরার লাবিব বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর আঘাত আছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন আছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় আমরা রেফার্ড করেছি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান মো. শাহিন মুঠোফোনে বলেন, মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আমার সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। পরে আমি সাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখি, সাইকেল নেই। ভ্যানে করে আমার কাজে চলে গেছি। পরে শুনি, আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম ওই ছেলেকে শাসন করেছে। শাসন করতে গিয়ে চোখে লেগেছে। শিশুটি হাসপাতালে আছে। আমি খোঁজ নিয়েছি।
বিবার্তা/রববানী/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]