
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দুটো ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রায়শই সংবাদ প্রচার হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে নিয়ে কখনই মাথা ব্যথা করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক হোসেন। তার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের দাবি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় ফারুকের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের খালি মেঝেতে নোংড়া ম্যাট্রেসের উপর সাবেক সেনা সদস্যের শুয়ে থাকা একটি ছবি প্রকাশ পায়। মুহূর্তেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। সৃষ্টি হয় নানা সমালোচনা।
আর গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিক অনিক চক্রবর্তী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়ালে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সামনে একটি গরুর অবাধ বিচরণের দৃশ্য শেয়ার করেন। ঠাট্টা করে ক্যাপশনে লেখেন গরু ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে... লোকেশন: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। অনিকের করা পোস্টের কমেন্ট অপশনে নানা মন্তব্য করেন সমালোচকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এমন দুটি ঘটনার ছবি যুক্ত করে "আমাদের জীবননগর" ও "জীবননগর কমিউনিটি" নামের একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করে তুলে ধরা হয় নানা অনিয়মের তথ্য। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
পোস্টে লেখা হয়-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
এখন সময় এসেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সংস্থার করার সুতরাং আপনি কথা বলুন, আপনি আপনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আওয়াজ তুলুন।
মনে রাখবেন:
অধিকার যখন আপনার, তখন অধিকার আদায় করতে আপনাকেই কথা বলতে হবে।
বিশিষ্ট পশু ডাক্তার বিদ্যুৎ। সীমাহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাস্টারমাইন্ড। তত্ত্বাবধায়ক, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল।
ওনার পোস্টারে লেখা উচিত ছিল ম্যানেজার, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল।
বি:দ্র: প্রতি শুক্রবার বাদে সবদিন উনি রোগী দেখে। ডা. বিদ্যুৎ কুমারের দায়িত্ব তো হাসপাতাল মনিটরিংয়ের। কিন্তু উনি বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যবসা করে। ম্যানেজারের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কর্মচারীরা কীভাবে ভালো হবে?
যার ফলশ্রুতিতে হাসপাতালে গরু ঢুকে যায়, রিসিপশনে নার্স থাকেনা। হাসপাতালকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]