
চিনি ইউনিটে ২১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০২৪/২৫ মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত দেশের সবচে বড় চিনিকল কেরু এন্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড।
২০ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিকেলে মিলের কেইন কেরিয়ারে আখ ফেলার মধ্য দিয়ে এ মৌসুমের মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়।
মাড়াই কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্র, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আমরা সিন্ডিকেট ভেঙে মধ্যস্বস্তভোগী কেউ যাতে লাভবান হতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রতি দুই বছর পর পর চাষীদের জন্য আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বছর বন্ধ থাকা দেশের ৬টি চিনিকল কারখানা চালু করা হয়েছে। আখ চাষ বৃদ্ধি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সকল চিনিকল চালু করা হবে।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, চিনিকলের লোকসান কমাতে এবং লাভজনক করতে ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আখ রোপণ ও কৃষকদের সুযোগ-সুবিধার দিকে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের আখচাষে উদ্বুদ্ধ করতে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার আখের মূল্য বেশি। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চাষীদের প্রতি বেশি বেশি আখ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি। উৎপাদন যত বাড়বে আখের মূল্যও তত বাড়বে। ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন আখ চাষীরা।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরোও বক্তব্য রাখেন চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।
৫টি ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত দেশের অন্যতম বৃহৎ এই শিল্প কারখানাটি এ মোসুমে সামগ্রিক ভাবে মুনাফা করেছে ১১২ কোটি টাকা। তবে গত বছরের মতো এবারও ৬১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা ঘাড়ে রয়েছে চিনি ইউনিটে।
এ মৌসুমে ৬৫ কর্মদিবসে ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে মিল কতৃপক্ষ। চিনি আহরণের গড় ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। এ মৌসুমে মিল এলাকায় মোট আখ চাষ করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০ একর জমিতে।
গেল মৌসুমে কেরু এন্ড কোম্পানি ডিস্টিলারি ইউনিট থেকে মুনাফা করেছে ১৭২ কোটি টাকা, ফার্মাসিউটিক্যালে ২০ হাজার টাকা, জৈব সারে ৫৩ লাখ টাকা, কমার্শিয়াল ফার্ম ও আকন্দবাড়িয়া ফার্ম থেকে ২৮ লাখ টাকা।
বিবার্তা/আসিম/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]