রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ১২:৩০
রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।


সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাতে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক একে একে সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।


মৃতরা হলেন- ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শিহাবুল ইসলাম (২৪), যাত্রাবাড়ী দনিয়া এ কে স্কুলের প্রিয়ন্তী সরকার (১৪) ও উত্তর বাড্ডার গৃহিণী বিথী আক্তার (১৯)।


মৃত শিহাবুল ইসলামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে। বাবার নাম আবু সাঈদ সরকার।


তার বোন উম্মে সায়মা জানান, রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শিহাবুল। স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করতেন তিনি। তবে সম্প্রতি তার পড়ালেখা ভালো যাচ্ছিল না এবং তার স্কলারশিপটি থাকবে না বলে ধারণা করছিলেন তিনি। এই বিষয়টি বোনকেও বলতেন। এই হতাশা থেকে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খিলগাঁও নন্দীপাড়া রসূলবাগ এলাকার বাসায় দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সন্দেহ হলে তাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সারাশব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে।


এদিকে মৃত প্রিয়ন্তী সরকারের বড় ভাই প্রীতম সরকার জানান, যাত্রাবাড়ী কাজলা মাতব্বর গলিতে তাদের নিজেদের বাড়ি। সেই বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন তারা। যাত্রাবাড়ী দনিয়া এ কে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তী। তবে পড়ালেখা নিয়ে উদাসীন ছিল সে। এজন্য সোমবার রাতে বাবা এবং ভাই তাকে কিছুটা বকাঝকা করেন। এই অভিমান নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। টের পেয়ে রাত ১টার দিকে স্বজনরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।


অপর দিকে নিহত গৃহিণী বিথী আক্তারের স্বামী আসাদুজ্জামান জানান, তার বাড়ি নাটোর আর বিথীর বাড়ি রাজশাহীতে। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান নেই। আব্দুল্লাহবাগের এই বাসায় আসাদুজ্জামানের অসুস্থ বাবাকে অস্ত্রোপচারের পর সেবা করার জন্য গত সপ্তাহে বিথীকে গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। সোমবার রাতে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন বিথী। পরবর্তীকালে ডাকাডাকি করলেও রুমের দরজা না খোলায় সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, তিনটি মরদেহই মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com